সফরসূচি ছিল সোমবারের। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে রবিবার রাতেই বিপ্লব- রাজ্যে রওনা হচ্ছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর এমনটাই। যুব তৃণমূলের সভানেত্রী সায়নী ঘোষের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলা রুজু হওয়া এবং তাঁর গ্রেফতারির খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ত্রিপুরা যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন অভিষেক বলে খবর।
এর আগে বিপ্লব দেবের ত্রিপুরায় জয়া দত্ত, সুদীপ রাহাদের গ্রেফতারির প্রেক্ষিতে সেখানে ছুটে গিয়েছিলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সায়নীর পাশে দাঁড়াতে এদিন রাতেই ত্রিপুরা যাচ্ছেন তিনি।
সায়নীর বিরুদ্ধে গাড়ি দিয়ে ধাক্কা মারার চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে। ত্রিপুরা পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলা রুজু করেছে। আপাতত তাঁকে আগরতলা পূর্ব মহিলা থানায় রাখা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। জানা গিয়েছে, ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০ বি, ৫০৬, ১৫৩ এবং ৩০৭ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। রবিবার রাতে পুলিশ হেফাজতেই কাটাতে হবে তৃণমূলের যুব নেত্রীকে।
এদিকে এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন সায়নী। তাঁর কটাক্ষ, ‘রাজনৈতিক লড়াই জিনিসটাই বিজেপির সিলেবাসে কোনদিনও ছিল না এবং ভবিষ্যতেও থাকবে না। ক্ষমতার দম্ভে, প্রশাসন ও গুন্ডাবাহিনীকে ব্যবহার করে, ভয় দেখিয়ে ভারতবর্ষের মানুষকে চুপ করিয়ে রাখা যাবে না। গণতন্ত্রকে এভাবে ভুলুণ্ঠিত হতে তৃণমূলের সৈনিকরা দেবে না’।
অন্যদিকে এক টুইটে বিপ্লব দেবের প্রশাসনকে তীব্র আক্রমণ করেছেন অভিষেক। এক টুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, ‘বিপ্লব দেব এতটাই নির্লজ্জ হয়ে উঠেছে যে, এখন সুপ্রিম কোর্টের আদেশ নিয়েও তিনি আর মাথা ঘামান বলে মনে হয় না। তিনি আমাদের সমর্থকদের এবং আমাদের মহিলা প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে বারবার তাঁদের উপর আক্রমণ করার জন্য গুন্ডা পাঠিয়েছেন! গণতন্ত্রকে উপহাস করছে ত্রিপুরার বিজেপি। এটা আমার ভারত নয়’।