দীর্ঘ একবছরের আন্দোলনের সুফল। বাধ্য হয়েই অন্নদাতাদের কাছে মাথা নোয়াতে হল কেন্দ্রীয় সরকারকে। গুরু নানক জন্মজয়ন্তীতে ঠিক উত্তরপ্রদেশ ও পঞ্জাবের ভোটের আগে কেন্দ্রের লাগু করা তিন কালা আইন প্রত্যাহার করে নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যা কৃষকদের জয় বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
টুইট করে পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি জানিয়েছেন, ‘আশা করি ওরা এখানেই সংশোধন করবে। ২০১৯ থেকে যে অনৈতিক পরিবর্তন করে রেখেছে তার বদল ঘটাবে।’ জম্মু-কাশ্মীরের দুই নেতাই কেন্দ্রের কৃষি আইন প্রত্যাহারের বিষয়ে সাধুবাদ জানিয়েও নিজেদের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন।
শুক্রবার কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য সৎ ছিল। কিন্তু কৃষি আইনের সুফলের কথা কিছু কৃষককে আমরা বোঝাতে পারিনি। আমাদের তরফেই হয়তো কোনও খামতি রয়ে গিয়েছে যে আমরা সব কৃষকদের বোঝাতে পারিনি। কিন্তু, আজ পবিত্র মন থেকে বলছি, যা করেছিলাম কৃষকদের জন্য করেছি। যা করছি কৃষকদের জন্য করছি।’
মোদি-শাহের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে যাই হোক না কেন জয় হয়েছে আন্দোলনের। আর ঠিক এই সিদ্ধান্তের পর জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে নতুন করে আওয়াজ তুলতে শুরু করেছেন উপত্যকার নেতারা। জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন দুই মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি ও ফারুক আবদুল্লা শুক্রবার ফের সরব হয়েছেন ৩৭০ ধারা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য।
২০১৯ সালের ৫ অগস্ট কেন্দ্র তড়িঘড়ি সংবিধানের ৩৭০ ধারা ও ৩৫ A তুলে দেয়। এর ফলে বিশেষ রাজ্যের তকমা হারিয়ে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত হয় জম্মু-কাশ্মীর। তারপর থেকেই নানা অত্যাচার সহ্য করেছে সেখানকার মানুষ। চাবুকের তলায় রেখে চলেছে রাজনীতি। কিন্তু ফিরিয়ে দেওয়া হয় নি ৩৭০ ধারা।