কৃষক আন্দোলনের জেরে শেষমেশ পিছু হঠতে বাধ্য হয়েছে মোদী সরকার। শুক্রবারই বিতর্কিত তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর তারপর থেকেই দেশজুড়ে খুশির হাওয়া। পাঞ্জাব, হরিয়ানার পাশাপাশি বাংলার কৃষকরাও আনন্দে মেতে উঠেছেন। মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, বর্ধমান থেকে নদিয়া, মুর্শিদাবাদ- সর্বত্রই উল্লাসে মেতে উঠেছেন কৃষকেরা। আর তাঁদের সঙ্গে আনন্দে সামিল হয়ে বিজয় মিছিল বের করেছেন রাজ্যের শাসকদলের নেতারা।
গতকাল প্রধানমন্ত্রীর তিন কৃষি আইন বাতিলের ঘোষণার পরই সবুজ আবির নিয়ে বিজয়োল্লাসে মেতে ওঠেন নদিয়ার জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। কৃষ্ণনগর সদর হাসপাতাল মোড়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের উদ্যোগে সবুজ আবির মেখে বিজয়োল্লাস করেন কৃষকেরা। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তরফে কৃষ্ণনগর পাত্র বাজারের সমস্ত সবজি বিক্রেতা এবং চাষিদের গোলাপ ফুল দিয়ে সম্বর্ধিত করা হয়। আবার পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে তৃণমূল নেতা শেখ আবু তাহেরের নেতৃত্বে স্থানীয় কৃষকদের নিয়ে মিছিল করেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা।
সন্ধ্যায় পূর্ব বর্ধমানের কার্ডন গেট চত্বরেও কৃষকদের নিয়ে সবুজ আবির মেখে বিজয়োল্লাসে মেতে ওঠেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের জেলা মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস কৃষকদের মিষ্টি খাওয়ান। তিনি বলেন, ‘দেরিতে হলেও এটা কৃষক ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়।’ মহিষাদলের বিধায়ক তিলক চক্রবর্তীও কৃষকদের মিষ্টিমুখ করান। তবে তাঁর দাবি, ‘সামনেই পাঁচ রাজ্যে ভোট আছে। পরাজয়ের ভয়েই কৃষকদের দু-বছর ধরে চলা আন্দোলন মেনে আইন বাতিল করেছে সরকার। বিপদে পড়ে পিছুপা হতে বাধ্য হয়েছে। তবে কৃষকরা জানে, ভোট মিটলে মোদী সরকার আবার স্বমূর্তি ধারণ করবে।’