কৃষক আন্দোলনের জেরে শেষমেশ পিছু হঠতে বাধ্য হয়েছে মোদী সরকার। শুক্রবারই বিতর্কিত তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর তারপর থেকেই একদিকে যখন দেশজুড়ে খুশির হাওয়া। উচ্ছ্বাসে ভাসছেন কৃষকরা। তখন অন্যদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বইছে ট্রোলের বন্যা। বিজেপি কর্মী-সমর্থক এবং আইটি সেলের এত প্রাণপাত করে ‘আমি ক্ষুদ্র কৃষক পরিবারের সন্তান’, আন্দোলনকারীদের খলিস্তানি বলে মুণ্ডপাত— সবই এবার বুমেরাং হয়ে ফিরে এল। কঙ্গনা রানাওয়াতের ইনস্টাগ্রাম স্টোরির মর্মকথা থেকে নেটরাজ্যের ভক্তবৃন্দের হাহুতাশ দেখে একের পর এক মিম ঘুরপাক খাচ্ছে নেটিদুনিয়ায়। রসিকতা চলছে, কঙ্গনা বুঝি ‘খলিস্তানি চাষি’দের প্রতি পক্ষপাতিত্বের প্রতিবাদে তাঁর পদ্মশ্রীই ফিরিয়ে দিলেন!
শুধু তাই নয়। ‘গোবরখেকোদের হারিয়ে আনাজপ্রেমীদের জয়’, ‘মোদী যা করেন ভালর জন্যই করেন’ ও হ্যাশট্যাগ মোদীজি নে কিয়া হ্যায় তো ঠিকহি কিয়া-র মতো টিপ্পনী ধেয়ে আসছে নেটিজেনদের দিক থেকে। ভক্তেরা সর্বোচ্চ স্তরের ক্ষমা চাওয়ার মাহাত্ম্য প্রচার করলে তাঁদের স্মরণ করানো হচ্ছে ভোট বড় বালাই। বিজেপির ‘পেটোয়া’ মিডিয়াকেও তুলোধনা চলছে। পাঞ্জাবের প্রতিবাদী চাষিদের খলিস্তানি তকমার মধুর প্রতিশোধ হিসেবেই তির্যক ব্যঙ্গ বা শ্লেষের সুরে ফিরে এসেছে খলিস্তানি হ্যাশট্যাগটি। কেউ বলছেন মোদীজি খলিস্তানিদের কথা শুনছেন মানে কি তিনি নিজেও খলিস্তানি! ভক্তদের কাছে ভারত-বিরোধী আখ্যা পাওয়া টুইটারের বিকল্প হিসেবে উঠে এসেছিল দেশি মঞ্চ ‘কু’। সেখানেও ৫৬ ইঞ্চি ছাতি কুঁকড়ে প্রধানমন্ত্রীর ‘মেরুদণ্ডহীন সিদ্ধান্ত’ নিয়ে অনেকেই বিমর্ষ।