কৃষক আন্দোলনের জেরে শেষমেশ পিছু হঠেছে মোদী সরকার। শুক্রবারই বিতর্কিত তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।আর তারপর থেকেই সারা দেশের সঙ্গে কলকাতা-সহ বাংলার শিখ সমাজের মধ্যে খুশির হাওয়া। গুরু নানকের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে শহরে গুরুদ্বারগুলিতে এদিন বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন ছিল। তার সঙ্গে যুক্ত হয় কৃষি আইন বাতিলের খুশির খবর। প্রধানমন্ত্রী গতকাল সকালে আইন তিনটি বাতিলের কথা ঘোষণা করতেই দেশের নানা প্রান্তে শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ আনন্দে আতেন, গুরুদ্বারে ছোটেন। কলকাতাতেও ছিল একই চিত্র। ভবানীপুর, রাসবিহারী, বড়বাজার, ডানলপ মোড়, সিঁথি-বরানগর এলাকায় শিখ সমাজে যেন যুদ্ধ জয়ের আনন্দ। কয়েকটি জায়গায় মিছিল করেন ওই সম্প্রদায়ের মানুষ।
হাওড়া শিখ সঙ্গত গুরুদ্বারের সভাপতি বচন সিং সরল পেশায় সাংবাদিক। তিনি বলেন, এই তিন আইনের সঙ্গে শিখ সম্প্রদায়ের জীবনযন্ত্রণা জুড়ে গিয়েছিল। তাই গুরুদ্বার পুরোপরি পাশে ছিল আন্দোলনের। তিনি জানান, কলকাতার শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ আইন তিনটি বাতিলের দাবিতে শহরে মিটিং মিছিল করেছেন। দিল্লী, পাঞ্জাবের লড়াইয়েও যোগ দিয়েছেন। কলকাতায় রাসবিহারী অ্যাভেনিউতে অবস্থিত গুরুদ্বারটির পরিচালন সমিতির প্রধান বিতপাল সিং বলেন, গুরু নানকের জন্মদিনে কৃষি বিল প্রত্যাহারের ঘোষণার খবর পেয়ে আমরা খুব আনন্দিত। এই খবরটা আরও আগেই পাওয়া দরকার ছিল। এটা আগে ঘোষণা করলে ভাল হত, তাহলে এত লোক আন্দোলনে মারা যেত না। তাঁর দাবি, সবাই বুঝতে পারছে ২-৩ জায়গায় নির্বাচনে মোদী হেরে গেছেন। তাই আইন তিনটি প্রত্যাহার না করা হলে দলের অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে মনে করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।