হাতে গোনা আর মাত্র কয়েকটা দিন পরই ত্রিপুরায় পুরভোট। আগরতলা পুরনির্বাচনের লড়াইয়ে পুরোদমে ঝাঁপিয়ে পড়েছে বাংলার শাসকদল তৃণমূল। কিন্তু বারবারই তৃণমূল নেতা, কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন। পুরভোটে সব দলকে প্রচারে সুরক্ষা দিতে হবে, সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের পরও ঘাসফুল শিবিরের নেতাদের হামলার মুখে পড়তেই হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাতেও প্রচারে বেরিয়ে দুষ্কৃতী হামলার মুখে পড়লেন রাজ্যের প্রথম সারির তৃণমূল নেতা আশিসলাল সিং। তাঁর গাড়িতে ভাঙচুর করা হয়ে বলে অভিযোগ। তৃণমূলের অভিযোগের নিশানায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। অশান্তির ঘটনায় পুলিশ তদন্তে নেমেছে।
বৃহস্পতিবার ঘড়িতে সময় প্রায় রাত ৮টা। রাজধানী আগরতলা থেকে একশো কিলোমিটার দূরের কৈলাশহরে প্রচারে গিয়েছিলেন তৃণমূলের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য তথা দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য আশিসলাল সিং। ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার চালাচ্ছিলেন তিনি। অভিযোগ, সেসময় তাঁর উপর অতর্কিত হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। তাঁর গাড়িতে ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। আশিসলাল সিংয়ের অভিযোগ, এই হামলার পিছনে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাত রয়েছে। এই ঘটনার পর পুলিশে অভিযোগ দায়ের করলে আশিসলাল সিংকেই আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের পর রাতের দিকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এই ঘটনায় স্বভাবতই ব্যাপক ক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতৃত্ব। কেন দুষ্কৃতীদের খোঁজ করে ধরপাকড়ের বদলে অভিযোগকারীকেই আটক করা হল? এই প্রশ্ন তুলছে ঘাসফুল শিবির। পরপর তৃণমূল প্রার্থীদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেই চলেছে ত্রিপুরায়। কখনও প্রার্থীকে প্রচারে বাধা, কখনও আবার থানা থেকে চ্যাংদোলা করে মহিলা প্রার্থীকে বের করে দেওয়ার মতো অশান্তি প্রকাশ্যে চলে আসছে। পুলিশে অভিযোগ দায়ের হলেও তৃণমূল প্রার্থীদের সুরক্ষা অধরাই বিপ্লব দেব শাসিত রাজ্যে। পুরভোটের সপ্তাহখানেক আগে এনিয়ে গর্জে উঠেছে তৃণমূল। প্রতিটি ঘটনায় সুবিচার চেয়ে পথে নেমেছেন দলের নেতা, কর্মী, সমর্থকরা।
