গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থেকে দেশের প্রধানমন্ত্রী— এই দীর্ঘ সফরে নানা বিতর্কের মুখে পড়েছেন নরেন্দ্র মোদী। গুজরাত দাঙ্গা নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল। তদন্তও চলে। কিন্তু সে সময় তাঁর ক্ষমা চাওয়ার জন্য জোরালো দাবি উঠলেও ক্ষমা চাননি তিনি। এমনকী নোটবন্দীর সিদ্ধান্তে দেশের আর্থিক বৃদ্ধি ধাক্কা খাওয়ার পর বিপুল সমালোচনার মধ্যেও ক্ষমা চাইতে দেখা যায়নি তাঁকে। কিন্তু লকডাউনের জেরে যখন পরিযায়ী শ্রমিক ও সাধারণ মানুষ চরম সঙ্কটের মুখে পড়তে হয়, তখন প্রধানমন্ত্রী বলতে বাধ্য হয়েছিলেন— ‘আমি ক্ষমাপ্রার্থী’। আজ দ্বিতীয় বার প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে দেখা গেল তাঁকে। আর একে হাতিয়ার করেই ময়দানে নেমেছেন বিরোধীরা। কেউ বলেছেন, ঔদ্ধত্যের বিনাশ হল। কেউ আবার বলেছেন, এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে ব্যাকফুটে চলে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, ২০২০-র মার্চে করোনা সংক্রমণ রুখতে দেশে সম্পূর্ণ লকডাউনের ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। যার জেরে চরম সঙ্কটের মুখে পড়েন হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিক, সাধারণ মানুষ। তাঁর সেই সিদ্ধান্তে দেশ জুড়ে তীব্র সমালোচনার শুরু হলে শেষমেশ মোদীকে বলতে হয়েছিল, ‘এই কঠিন পদক্ষেপ আপনাদের জীবনে অনেক সমস্যা ডেকে এনেছে। বিশেষ করে গরিব মানুষের। তার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী।’ শুক্রবার ৩ কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা করতে এসে আরও একবার তাঁকে বলতে হল, ‘দেশবাসীর কাছে স্বচ্ছ হৃদয়ে আমি ক্ষমা চাইছি। কৃষকদের আমরা বোঝাতে পারিনি। আমাদের চেষ্টায় কোনও ত্রুটি ছিল।’ এই ঘোষণার পরই মোদীকে নিশানা করেছে বিরোধীরা। তাদের কটাক্ষ, কৃষকদের জয়, ঔদ্ধত্যের পরাজয়।