প্রতিবাদ-প্রতিরোধ শুধু পথে পথে নয়। নানাভাবেই তো হয়। কথাতেই তো আছে – কলম তলোয়ারের চেয়েও শক্তিশালী। আজ, শুক্রবার দেশের ইতিহাসে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিন। প্রবল কৃষক আন্দোলনের চাপে তিন বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহার করেছে কেন্দ্র। খুশির হাওয়া সবমহলে।
এবার তাঁদের সেই সংগ্রামকে অভিনন্দন জানিয়ে ফের কলম ধরলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আবারও শব্দ-ছন্দ-কাব্যে নতুন রচনা উঠে এল তাঁর কলমে। লিখলেন নতুন কবিতা – দেশের অন্নদাতাদের প্রতি হৃদয়ের শ্রদ্ধা জানিয়ে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা নতুন কবিতা
‘অন্নদাতার অন্নর অধিকার/ফিরিয়ে দিতে হবেই/ মাঠ-মাটি-জমি প্রান্তরে/ কৃষিক্ষেত্র জাগবেই” – এই কথামালায় শুরু হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নতুন কবিতা। কৃষকদের সংগ্রাম, আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে গিয়েছে কবিতার স্রোত।
দিনের শুরুতে টুইটবার্তায় নিজের প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন মমতা। সেখানেও কৃষকদের লড়াইয়ের ফসল হিসেবে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এবার কাব্যেও সেই বার্তা তুলে ধরলেন।
মধ্যভাগে শাসকের ঔদ্ধত্য, অহংকারের ভগ্নদশা, অস্ত্রের ঝংকারকে ভেঙেচুরে দিয়ে কীভাবে কৃষকরা প্রতিবাদের আগুন জ্বালিয়ে রেখেছেন, সেকথা উল্লেখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। লিখেছেন – ”দীর্ঘদিনের আন্দোলনের ফসল/ তোমাদের স্বপ্ন/ কেড়ে নিতে চাইলেও ব্যর্থ হবে না/ ঔদ্ধত্য – অহংকারে ভগ্ন”। আর শেষভাগে সেই জীবনের জয়গান – ”তবুতো থামোনি/ থামোনি তোমরা/ লড়ে গেছো আপন গৌরবে/ তাই তো আজ জয়ী হলে তোমরা/ অভিনন্দন সংগ্রামী সৌরভে”।
তবে প্রথম নয়। এর আগে নানা ইস্যুতে প্রতিবাদে কলম গর্জে উঠেছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এন আর সি, সি সি এ থেকে কৃষি আইন প্রণয়ন – সবেতেই তাঁর কবিতার সঙ্গে পরিচিত হয়েছেন আমজনতা। এবার নতুন বিষয় – কৃষি আইন প্রত্যাহারের মতো কেন্দ্রের ঐতিহাসিক ঘটনায় কৃষকদের প্রতিরোধী মনোভাবকে কুর্নিশ করে রচনা করলেন নিজের কবিতা।