লাঙল-কাস্তে হাতে এ এক যুদ্ধজয়ই বটে। শুক্রবার সকাল ৯টা। দেশবাসীর উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষণেই স্পষ্ট হয়ে গেল, দেশের অন্নদাতাদের কাছে অবশেষে নতিস্বীকার করেছে তাঁর সরকার। গুরু নানক জয়ন্তীতে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করলেন তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নিচ্ছে কেন্দ্র। এই ঘোষণার পর পরই দৃশ্যটা বদলে যেতে শুরু করল। সিঙ্ঘু এবং গাজিপুর সীমানায় কৃষক দুর্গ যেন এক লহমায় উচ্ছ্বাসের বানে ভেসে গিয়েছে। জয়োল্লাসের ছবি সীমানার কানায় কানায়।
অন্যদিনের মতো শুক্রবারও এই দুই আন্দোলনস্থলে ভোর থেকে ছবিটা স্বাভাবিকই ছিল। সিঙ্ঘু সীমানায় কয়েক বর্গ কিলোমিটার জুড়ে আন্দোলনকারী কৃষকদের সার দিয়ে তাঁবু ফেলা। আগের মতো বিপুল সংখ্যায় কৃষক না থাকলেও আন্দোলনস্থলের চেহারা বদলায়নি। প্রতি দিনই সকাল ১০টা থেকে ধরনা মঞ্চে হাজির হন কৃষকরা। কিন্তু শুক্রবার যেন আচমকাই ছবিটা বদলে যেতে শুরু করে।
বিপুল সংখ্যায় কৃষক জড়ো হন সিঙ্ঘু সীমানায়। কৃষি আইন প্রত্যাহারের খবর শুনতেই উল্লাসে মাতেন তাঁরা। মিষ্টি, জিলিপি বিলি করা হয়। আনন্দে পরস্পরকে আলিঙ্গন করা এমনই ছবি ধরা পড়েছে সেখানে। স্বাভাবিকভাবেই কৃষকদের কাছে এ এক বিশাল জয়। দীর্ঘ এক বছর আন্দোলনের জয়। আর সেই জয়ের আস্বাদ তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করতে দেখা গেল কৃষকদের। দুই সীমানায় ফিরে এল উচ্ছ্বাসের ছবি। আর সেই জোয়ারে গা ভাসালেন দেশের অন্য প্রান্তের কৃষকরাও।