আচমকাই কৃষি আইন প্রত্যাহার করার ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পাঞ্জাব-উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনের আগে গুরু পরবের দিন রাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে ভাষণে এই আইন প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। আর তারপরই এই নিয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে তোপ দাগলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা তথা প্রধান জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন। সংক্ষিপ্ত টুইটে তিনি মোদী তথা বিজেপির ‘হার’ বলে উল্লেখ করেন। পাশাপাশি সংসদ ভবনের সামনে তৃণমূল সাংসদদের বিক্ষোভ প্রদর্শনের একটি পুরোনো ছবিও টুইট করেন ডেরেক। সেখানে ডেরেকদের হাতে কৃষকদের সমর্থনে পোস্টার ছিল।
এদিন টুইট বার্তায় ডেরেক ও’ব্রায়েন লেখেন, ‘অহংকারের হার। ঔদ্ধত্য হাঁটু গেড়ে বসতে বাধ্য।’ উল্লেখ্য, কৃষি আইন নিয়ে কৃষকদের অসন্তোষকে হাতিয়ার করে তৃণমূল জাতীয় স্তরে আন্দোলন সংগঠিত করেছিল। আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির সঙ্গে জোটে থাকা অকালি দল সরকার ছাড়লে তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন ডেরেক ও’ব্রায়েন ও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়রা। কৃষকদের সঙ্গে দেখা করতে আন্দোলন স্থলে যান তৃণমূল সাংসদরা। সংসদের ভিতরে এবং বাইরে এই নিয়ে বহুবার সরব হয়েছে তৃণমূল সাংসদরা। এই আবহে কৃষি আইন প্রত্যাহারের এই ঘটনাকে নিজেদের ‘জয়’ হিসেবে দেখবে তৃণমূল।
এর আগে কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে দীর্ঘ প্রায় একবছর ধরে দিল্লী সীমানায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে কৃষকরা। কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলে গিয়েছেন। তৃণমূল সাংসদরা যখন কৃষকদের সঙ্গে দেখা করতে যান, তখন মুখ্যমন্ত্রী ফোনে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন। এমনকি বিধানসভা নির্বাচনী প্রচারেও মমতার মুখে বারংবার উঠে এসেছে কৃষক আন্দোলন প্রসঙ্গ। সম্প্রতি ভবানীপুর উপনির্বাচনের সময়ও এই বিষয়ে কেন্দ্রকে তোপ দাগতে শোনা গিয়েছিল মমতাকে। এই পরিস্থিতিতে বিজেপির এই ‘ব্যাকফুট ডিফেন্সে’ নিয়ে তৃণমূল কি অবস্থান নেয় সেটাই দেখার।
