পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে তৃণমূল কর্মীর খুনের ঘটনার সাত মাস পর সিআইডির হাতে গ্রেফতার দাপুটে বিজেপি নেতা। বুধবার এই ঘটনাট ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়। একুশের বিধানসভা নির্বাচনকালে নন্দীগ্রামে ভোটের আগে বয়ালে এক তৃণমূল কর্মীকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছিল। আঙুল উঠেছিল বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। অবশেষে সাত মাস পর এই ঘটনায় পবিত্র কর নামে এক বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
উল্লেখ্য, বিধানসভা ভোটের পরে বিজেপি কর্মী দেবব্রত মাইতিতে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে এই নন্দীগ্রামে। আবার তৃণমূল কর্মীকে খুনের অভিযোগে আঙুল ওঠে বিজেপির দিকে।
এই মামলাটির তদন্তভার নন্দীগ্রাম যায় সিআইডি-র হাতে। তার পরে এই গ্রেফতারি। অভিযুক্ত বিজেপি নেতার নাম পবিত্র কর নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের বয়ালে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধানও ছিলেন। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সিআইডি-র আধিকারিকরা প্রতিবেশী রাজ্য উড়িষ্যার ভুবনেশ্বর থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে বলে খবর। বুধবার অভিযুক্তকে হলদিয়া মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তদন্তের স্বার্থে তাঁকে সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। সূত্রের খবর, ওই খুনের ঘটনায় সিআইডি এখনও পর্যন্ত মোট ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে।
রসঙ্গত, নন্দীগ্রাম বিধানসভায় ভোট ছিল গত ১ এপ্রিল। গত ২৭ শে মার্চ সকালে ভোট প্রচার করে বাড়ি ফেরার সময় দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হন তৃণমূল কর্মী রবীন্দ্রনাথ মান্না। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই তৃণমূল কর্মীকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা। প্রথমে তাঁকে নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু সেখানে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে স্থানান্তরের পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। তার পর ওই তৃণমূল কর্মীকে কলকাতায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দীর্ঘ দিন লড়াইয়ের পরেও সুস্থ হয়ে ফিরতে পারেননি তৃণমূল কর্মী। এর পর গত ৯ এপ্রিল তৃণমূল কর্মী রবীন্দ্রনাথ মান্নার মৃত্যু হয়।