তীরে এসে ডুবল তরী। জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েও সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই বিদায় নিতে হল বাংলাকে। গ্রুপ পর্বে পরাজয়ের মধুর প্রতিশোধ নিল কর্ণাটক। সুপার ওভারে ব্যাটিং-ব্যর্থতার কারণে হেরে গেল বাংলা। এদিন দিল্লীতে টসে জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিলেন বাংলার অধিনায়ক সুদীপ চট্টোপাধ্যায়। শুরুতেই শরৎকে ফিরিয়ে দেন আকাশদীপ। এরপর কর্ণাটকের ইনিংসকে কিছুটা টানেন রোহন কদম (৩০) এবং মণীশ পান্ডে (২৮)। এঁরা দু’জন ফিরে যাওয়ার পর কিছুটা চাপে পড়েছিল কর্ণাটক। করুণ নায়ারের অপরাজিত অর্ধশতরানের সৌজন্যে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ায় তারা। ২৯ বলে ৫৫ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন করুণ। ৪টি চার এবং ৩টি ছয় মারেন তিনি। নির্ধারিত ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬০ তোলে কর্ণাটক।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে চমৎকার শুরু করেছিল বাংলা। প্রথম ওভারেই বিজয়কুমারকে পিটিয়ে ২০ রান তুলে দেন শ্রীবৎস গোস্বামী। পরের ওভারের প্রথম বলেই অভিষেক দাস ফিরে যান। শ্রীবৎস ফেরেন তৃতীয় ওভারে। বেশিক্ষণ টেকেননি অধিনায়ক সুদীপও। তিনি ১২ রান করে সাজঘরে ফেরেন। এক দিকে ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায় ধরে থাকলেও উল্টো দিকে কাউকে তিনি সঙ্গী হিসেবে পাচ্ছিলেন না। একসময় ১০৮ রানে ৬ উইকেট চলে যায় বাংলার। ঋত্বিক ফিরে যাওয়ায় মনে হয়েছিল বাংলার সব আশা শেষ।
আচমকাই সেখান থেকে খেলা ঘুরিয়ে দেন ঋত্বিক রায়চৌধুরী। শেষ ওভারে বাংলার জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৯ রান। বিদ্যাধর পাটিলকে প্রথম দুই বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ নিজেদের দখলে নিয়ে আসেন ঋত্বিক রায়চৌধুরি। চতুর্থ বলে আকাশদীপও চার মারেন। কিন্তু শেষ বলে এক রান দরকার হলেও তুলতে পারেনি বাংলা। রান নিতে গিয়ে আউট হন আকাশদীপ। এরপর সুপার ওভারে প্রথমে ব্যাট করে ৪ বলের বেশি টেকেনি বাংলার ইনিংস। দ্বিতীয় বলে কাইফ আহমেদ এবং চতুর্থ বলে সুদীপ আউট হন। ৪ বলে ৫ রান তোলে বাংলা। জবাবে মুকেশ কুমারের প্রথম বলে ২ রান নেওয়ার পর দ্বিতীয় বলেই ছক্কা মেরে কর্ণাটককে জয় এনে দেন মণীশ।