এবার বিএসএফ ইস্যুতে বড়সড় বিতর্কের সূত্রপাত ঘটল। বৃহস্পতিবার বিকেলে নিউ টাউনে বিএসএফের সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার হেড কোয়ার্টারে হাজির হন বিজেপি বিধায়করা। যাঁদের নেতৃত্বে ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ৬০ জনের বেশি বিধায়ক নিয়ে এদিন সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের কার্যালয়ে যান শুভেন্দু। বিএসএফকে বরণ করে নেন তাঁরা। পদ্মশিবিরের এহেন কর্মসূচী নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব হতে শুরু করেছে তৃণমূল। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এই কর্মসূচী নিয়ে টুইটারে কটাক্ষ করে লিখেছেন, “শুভেন্দু বিএসএফ ক্যাম্পে গিয়ে সস্তা নাটক করছে। ও আগে বলুক, ২০১২ সালে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী মোদীজি তখনকার প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহকে বিএসএফের ক্ষমতাবৃদ্ধির বিরুদ্ধে চিঠি দিয়েছিলেন কেন? কেন মোদীজি বলেছিলেন এটা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোতে আঘাত? এর জবাব না দিয়ে নাটক বন্ধ করুক বিজেপি।”
প্রসঙ্গত, শুভেন্দু অধিকারী আগেই জানিয়েছিলেন ১৮ তারিখ তিনি বিএসএফের অফিসে যাবেন। সেই মতো পৌঁছে যান বিএসএফ অফিসে। জওয়ানদের সাথে তিনি দেখা করেন। সেখানে ফুল, মিষ্টি নিয়ে জওয়ানদের সম্বর্ধনা জানান। স্বাভাবিকভাবেই এ নিয়ে সমালোচনায় সরব হয়েছে বিরোধী দলগুলি। বিরোধীদের প্রশ্ন কেন রাজনৈতিক দলকে বিএসএফ ক্যাম্পে কোন অনুষ্ঠান করার অনুমতি দেয় কর্তৃপক্ষ? তাহলে কী সরকার আর রাজনৈতিক দলের মধ্যে আর কোন পার্থক্যই নেই! উঠছে নানান প্রশ্ন। প্রসঙ্গত, এর আগেও ২০১৮ সালে বিএসএফের ডিজি কেকে শর্মা উর্দি পরে আরএসএসের অনুষ্ঠানে গিয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন। তা নিয়েও সেসময় বিতর্ক দানা বাঁধে। আরও একবার শুভেন্দু অধিকারীর সহ বিজেপি নেতাদের বিএসএফ ক্যাম্পে গিয়ে জওয়ানদের সম্বর্ধনা দেওয়াতে বিতর্কের ঘি-এ আগুন পড়ল।