বুধবার হঠাৎই বিধানসভায় গিয়ে পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে দেখা করলেন দিলীপ ঘোষ। মলয় ঘটকের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করলেন মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ। এ দিনের ঘটনাকে সৌজন্য সাক্ষাৎ আখ্যা দিয়েছেন তিনি। তবে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা চরমে। এদিন বিধানসভায় গিয়ে প্রয়াত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের ঘরের সামনে দাঁড়ান দিলীপ। ঘরের দরজা বন্ধ ছিল। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলার পর তিনি চলে যান ফিরহাদের ঘরে। সেখানে তাঁদের বৈঠক হয়। দিলীপ বলেন, এই ঘরে আসা তাঁর কাছে নতুন কিছু নয়। ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক। এর আগেও তিনি ওই ঘরে বেশ কয়েকবার গিয়েছেন, ছবিও তুলেছেন। এরপর ফিরহাদের ঘর থেকে বেরিয়ে মলয়ের ঘরে যান দিলীপ। সেখানেও তাঁদের মধ্যে কিছুক্ষণ কথাবার্তা হয়।
সাংবাদিকদের সামনে দিলীপ বলেন, আজকের বিষয়টা নিয়ে অনেকেই অনেক রকম চর্চা করতেই পারে। কিন্তু তিনি বরাবরই সবার সঙ্গে সৌজন্য রক্ষা করে চলেন। বিজয়ার শুভেচ্ছা জানাতেই দুই মন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ, এমনই জানান তিনি। প্রসঙ্গত, এ দিনই বিজেপি সদস্যরা বিধানসভায় তিনটি মুলতুবি প্রস্তাব আনেন। পেট্রোল ও ডিজেলের দাম কমানোর দাবি, মদের দাম কমানোর বিরোধিতা এবং ওবিসির সংরক্ষণের নিয়ম না মানার অভিযোগ করে মুলতুবি প্রস্তাব আনা হয়। কিন্তু মুলতুবি প্রস্তাব খারিজ করে দেন স্পিকার। এর পরই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর নেতৃত্বে বিজেপি বিধায়কেরা ওয়াকআউট করেন। একই দিনে ফিরহাদ-মলয়ের সঙ্গে দিলীপের বৈঠক ঘিরে জোর জল্পনা ছড়িয়েছে বাংলার রাজ্য-রাজনীতিতে।