দিল্লী ও গুরুগ্রাম, নয়ডা, গাজিয়াবাদের মতো দিল্লীর উপকণ্ঠের অঞ্চলগুলি দূষণের তীব্র দাপটে ঢাকা পড়ে গিয়েছে। ফসল তোলার পর মাঠে পড়ে থাকা গোড়া পোড়ানোর কারণেই এমন পরিস্থিতির তৈরি হচ্ছে প্রায় প্রতি বছর। এ বছর শত নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত সেই ধোঁয়াশায় ঢেকে গিয়েছে দিল্লী শহর। যার ফলস্বরূপ এবার অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাজধানীর স্কুল-কলেজ-শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। মঙ্গলবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে কমিশন ফর এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট জানিয়েছে যে, দিল্লী ও দিল্লী পার্শ্ববর্তী শহরগুলির সব স্কুল-কলেজ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়া নির্দেশ না আসা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। একইসঙ্গে দূষণ কমাতে ৫০ শতাংশ কর্মীকে বাড়ি থেকে কাজ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যদিও এই প্রস্তাবে আপত্তি জানিয়েছে কেন্দ্র।
সুপ্রিম কোর্টে বুধবার কেন্দ্র জানিয়েছে, এখনই সমস্ত কর্মীদের ঘর থেকে কাজ করানো সম্ভব নয়। তবে দূষণ নিয়ন্ত্রণে তারা কর্মীদের অফিসে আনতে পুলকার ব্যবহার করবে বলে আশ্বস্ত করেছে কেন্দ্র। সোমবার দিল্লী দূষণ মামলার শুনানিতে শীর্ষ আদালত অন্তত এক সপ্তাহের জন্য কর্মীদের ঘর থেকে কাজ করানোর নিদান দিয়েছিলেন। সেন্ট্রাল পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ডের অধীনস্থ ‘কমিশন ফর এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট’ অর্থাৎ সিএকিউএম-ও দূষণ নিয়ন্ত্রণে ৯ পাতার একটি নির্দেশিকা জারি করেছে। যাতে বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ স্কুল, কলেজ ও সমস্ত ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এছাড়া রাজধানী দিল্লী ও এনসিআর রাজ্য অর্থাৎ দিল্লী, হরিয়ানা, রাজস্থান ও উত্তরপ্রদেশে আপাতত ২১ নভেম্বর পর্যন্ত অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বহনকারী ছাড়া আর অন্য কোনও যানবাহন প্রবেশ করতে পারবে না। এবং ৫০ শতাংশ কর্মীকে ঘর থেকে কাজ অর্থাৎ ওয়ার্ক ফ্রম হোম করতে হবে।