তৃতীয়বার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শপথ নেওয়ার পর জানিয়েছিলেন এবার পথ চলা শুরু করবে বাংলার নিজস্ব বাংলা ডায়েরি। এটি তাঁর মস্তিস্কপ্রসুত আরও একটি প্রকল্প। রাজ্যের দুগ্ধজাত পণ্য যেমন, দুধ, ঘি, পনির, মাখন, দই ও ঘোল বিক্রি হবে বাংলার নিজস্ব ব্র্যান্ডে।
যার নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেখেছিলেন বাংলা ডেয়ারি। মাদার ডেয়ারির ধাঁচেই তৈরি হচ্ছে এই আউটলেট। সূত্রের খবর চলতি মাসে অর্থাৎ এই নভেম্বরের ৩০ তারিখ পথ চলা শুরু হবে বাংলা ডেয়ারির। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে বিভিন্ন রাজ্যের মতো দুধ ও দুধজাত পণ্যের নিজস্ব ব্র্যান্ড অবশেষে চালু হতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গেও।
রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত, বাংলা ডেয়ারি বাজার ধরার সঙ্গে সঙ্গেই ধীরে ধীরে ‘মাদার ডেয়ারি, কলকাতা’ গুটিয়ে ফেলা হবে। প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে, প্রথম দিকে দৈনিক ৪৫ হাজার লিটার দুধ নিয়ে ব্যবসা শুরু করবে বাংলা ডেয়ারি।
এরপর বাজারের চাহিদা মেনে ধাপে ধাপে দৈনিক ৮০ হাজার লিটারের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। বাংলা ডেয়ারির হাত ধরে বিপুল কর্মসংস্থানও তৈরি হবে। আউটলেটের সংখ্যাও ধীরে ধীরে বাড়বে। দুধের যোগান বাড়াতে মুর্শিদাবাদের ভাগীরথী, বাঁকুড়ার কংসাবতী, মেদিনীপুর ও ইছামতী দুগ্ধ সমবায়গুলির উৎপাদন বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
রাজ্যের প্রাণীসম্পদ উন্নয়ন দফতরের সূত্রে জানা যাচ্ছে, আপাতত প্য়াকেটজাত দুধ বিক্রি শুরু হচ্ছে না, বদলে মিলবে লুজ মিল্ক। মাদার ডেয়ারির মতোই লুজ দুধ বিক্রি হবে আপাতত। পরে ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে দুধের পাউচও বাজারে আনবে বাংলার ডেয়ারি। তবে নতুন ব্র্যান্ডে দুধ ও দুধজাত পণ্যের দামে বিশেষ হেরফের হবে না বলেই খবর।
মখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়ের সূত্রে জানা যাচ্ছে, প্রথম থেকেই বাংলা ডেয়ারির ৫১২টি আউটলেট চালু হয়ে যাবে। যা কলকাতা ছাড়াও হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জুড়ে পাওয়া যাবে। একটি বেসরকারি সংস্থাকে বাংলা ডেয়ারির প্রচার ও ব্র্যান্ডিংয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মূলত অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে টেক্কা দিতে বিপণন ও প্রচারের জন্য কাজ করবে ওই সংস্থা।