পূর্বসূরি দিলীপ ঘোষের পথেই হাঁটলেন বঙ্গ বিজেপির নয়া মুখিয়া সুকান্ত মজুমদার। পুরসভার প্রার্থী নিয়ে দলীয় কর্মীদের বিক্ষোভের আশঙ্কায় আগেভাগেই মুরলীধর সেন লেনের বিজেপির রাজ্য দফতরে বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষীদের নিয়োগ করলেন। বুধবার সকাল থেকেই ওই নিরাপত্তা রক্ষীরা পদ্ম শিবিরের সদর দফতর আগলে রয়েছেন।
বিধানসভা ভোটের আগে মুরলীধর সেন লেনের রাজ্য দফতর থেকে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড সরিয়ে হেস্টিংসের কার্যালয়ে নিয়ে গিয়েছিল পদ্ম শিবিরের শীর্ষ নেতৃত্ব। যেহেতু এক বেসরকারি ভবনে ওই কার্যালয় খোলা হয়েছিল, ফলে সেখানে দলের সাধারণ কর্মীদের প্রবেশাধিকার ছিল না। তবুও প্রার্থী নিয়ে দলের নির্বাচনী কার্যালয়ের সামনে নজিরবিহীন বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন বিজেপির নেতা-কর্মীদের একাংশ।
বিধানসভা ভোটে দল মুখ থুবড়ে পড়ার পরেই হেস্টিংসের পরিবর্তে মুরলীধর সেন লেনের কার্যালয় থেকেই পরিচালিত হচ্ছে রাজ্য বিজেপির সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড। পুরভোটের প্রার্থী তালিকা নিয়ে যাতে বিধানসভা ভোটের মতো নজিরবিহীন বিক্ষোভের ঘটনা না ঘটে তার জন্য রাজ্য দফতরে আটোসাঁটো নিরাপত্তার বন্দোবস্থ করা হয়েছে।
মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে সবার তল্লাশি নেওয়ার পরেই ভিতরে ঢোকার ছাড়পত্র দিচ্ছেন তাঁরা। যদিও আচমকাই বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষী নিয়োগ নিয়ে সংবাদমাধ্যমকে কোনও প্রতিক্রিয়া জানাতে রাজি হননি রাজ্য বিজেপির কোনও পদাধিকারীই।
প্রধান বিরোধী দলের রাজ্য দফতরের সামনে নিরাপত্তার কারণেই কলকাতা পুলিশের কর্মীরা থাকেন। কিন্তু দিলীপ ঘোষ রাজ্য সভাপতি হওয়ার পরেই সেই প্রথা ভাঙা হয়। রাজ্য দফতরের নিরাপত্তার দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থার হাতে।
মুরলীধর সেন লেনের অফিসের গেটে বসানো হয় মেটাল ডিটেক্টর। বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষী নিয়োগ নিয়ে তৎকালীন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষের ব্যাখ্যা ছিল, দলের কলেবর বাড়ছে। ফলে অবাঞ্ছিত লোকের প্রবেশ আটকাতেই বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষী নিয়োগ করা হয়েছে।