ভারতে বিট কয়েনের মতো ‘ক্রিপ্টো কারেন্সি’র কোনও বৈধতা নেই। তাও কী করে তা নিয়ে প্রচার হচ্ছে? সংবাদপত্রের মাধ্যমে কেন ছড়ানো হচ্ছে বিভ্রান্তমূলক প্রচার? কেন সরকার কোনও কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে না? সোমবার প্রশ্ন তুলে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হল তৃণমূল। প্রসঙ্গত, এ ধরনের ভার্চুয়াল মুদ্রা ব্যবস্থা চালু হলে যেকোনও মুহূর্তে জালিয়াতির সম্ভাবনা প্রবল বলেই আশঙ্কা। নিঃশব্দে মদত পেতে পারে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপও। এমনই একগুচ্ছ প্রশ্ন তুলে অর্থ সংক্রান্ত সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে সরব হয়েছেন সৌগত রায়। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গিয়েছে এমনটাই।
বৈঠকে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে যদিও কেউ ছিলেন না। তাই এ ব্যাপারে সরকারের অবস্থান ঠিক কী, তা জানা যায়নি। তবে ক্রিপ্টো কারেন্সি ব্যাপারটা আসলে ঠিক কী, তার ভালোমন্দ বুঝতে এদিন সংসদীয় কমিটির বৈঠকে বিশেষজ্ঞদের ডাকা হয়েছিল। বৈঠক ডেকেছিলেন অর্থমন্ত্রকের প্রাক্তন রাষ্ট্রমন্ত্রী তথা সংশ্লিষ্ট সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান ও বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত সিনহা। ২৩ জন বিশেষজ্ঞও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গিয়েছে, বিশেষজ্ঞদের বেশিরভাগ অংশই ক্রিপ্টো কারেন্সিকে শেয়ার বাজারে লেনদেনের মতো ট্রেডিংয়ের পক্ষে সওয়াল করেছেন। বিষয়টিকে তাঁরা ইনভেস্টার ফ্রিডম অর্থাৎ বিনিয়োগকারীদের স্বাধীনতা বলেই বর্ণনা করেছেন।