শুধুমাত্র নির্বাচনী চমক দিলে অর্থনীতি পুনরুদ্ধার হবে না। তার জন্য নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করে মানুষের হাতে নগদ টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা প্রয়োজন কেন্দ্রীয় সরকারের। দেশের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের সঙ্গে বৈঠকে এমনই প্রস্তাব দিলেন এ রাজ্যের অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
পরিকাঠামো এবং শিল্পের উন্নয়ন নিয়ে এদিন বিভিন্ন রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের বৈঠকে ডেকেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। সেই বৈঠকে রাজ্যের মানুষের হাতে টাকা পৌঁছে দেওয়া এবং অর্থনীতিকে সচল করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে একগুচ্ছ পরিকল্পনা নিয়েছেন, সেই কথা তুলে ধরেছেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। একইসঙ্গে বলেন, ‘রাজ্যগুলির অবস্থান ভাল হলে তবেই দেশের সার্বিক অবস্থা ভাল হবে, এবং সেটাই কাঙ্ক্ষিত’। তাঁর আরও দাবি, ‘মানুষের হাতে টাকা পৌঁছনো খুবই জরুরি। না হলে অর্থনীতির চাকা মসৃণভাবে ঘুরতে পারবে না। এখন মানুষের হাতে টাকা পাঠানোর মতো পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে কেন্দ্রকে। শুধুমাত্র নির্বাচনী চমক দিয়ে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের কথা বললে চলবে না’।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর কাছে রাজ্য স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, কোভিড মোকাবিলার পাশাপাশি একাধিক প্রাকৃতিক দুর্যোগের মোকাবিলাও রাজ্যকে করতে হয়েছে। ত্রাণ এবং অন্যান্য খাতে বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ হয়েছে। তা সত্ত্বেও রাজ্য সরকার ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’, ‘স্বাস্থ্যসাথী’, ‘দুয়ারে রেশন’, ‘কন্যাশ্রী’র মতো বিভিন্ন মানবিক প্রকল্পের মাধ্যমে মানুষের হাতে টাকা এবং সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা চালিয়েছে। রাজ্যের জিডিপি ২০১৫–১৬ অর্থবর্ষের তুলনায় ২০২০–২১ অর্থবর্ষে ১২.৬২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের জিডিপি যেখানে ৭.৩ শতাংশ কমেছে, সেখানে রাজ্যের জিডিপি বৃদ্ধির হয়েছে ১.৬ শতাংশ।