ত্রিপুরা পুরভোটে ৯ দফা নির্বাচনী ইস্তেহারপ্রকাশ করল তৃণমূল৷ মঙ্গলবার আগরতলায় সাংবাদিক সম্মেলন করে তৃণমূল প্রতিনিধিরা আগরতলার মানুষের স্বাস্থ্য,পানীয় জল, সাধারণের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
এ দিন আগরতলায় তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়, সুস্মিত দেব, বিধায়ক ইন্দ্রনীল সেন, অভিনেতা সোহম প্রমুখ ‘আগরতলার জন্য নবরত্ন’ শীর্ষক নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করেন৷ তাতে বলা হয়েছে, নাগরিক পরিষেবায় সকলের জন্য শহরের চারটি জায়গায় হাই স্পিড ফ্রি ওয়াই-ফাই ব্যবস্থা৷
প্রথমেই রয়েছে নাগরিক পরিকাঠামোর কথা। ‘উন্নত নগর, উন্নত সমাজ’ শীর্ষক এই প্রথম ‘রত্ন’ আদতে পাঁচটি প্রতিশ্রুতি— খানাখন্দহীন আগরতলা, শহরের ৪টি প্রধান জায়গায় বিনামূল্যে ওয়াই-ফাই, পরিষ্কার এবং সহজলভ্য বায়ো টয়লেট, বাজার-পার্কের রক্ষণাবেক্ষণ এবং শ্মশান ঘাটের উন্নয়ণে ১০ কোটি টাকা বিনিয়োগ।
তালিকায় দ্বিতীয়, নাগরিক সুরক্ষার উন্নয়ন। নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আগরতলায় পথবাতির সংখ্যা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তৃণমূল। এ ছাড়া আগরতলায় ৭০০টি সিসিটিভি ক্যামেরার নজরদারি, টহলদারি ভ্যান এবং মেয়েদের নিরাপত্তার জন্য পিঙ্ক অটো/ট্যাক্সি চালু করার কথা বলা হয়েছে।
আগরতলা পুরভোটে তৃণমূলের তৃতীয় প্রতিশ্রুতি, পরিচ্ছন্ন আগরতলা। তার জন্য বর্জ্যের ব্যবস্থাপনা এবং নিকাশি ব্যবস্থার সংস্কারসাধনের কথা বলেছে তৃণমূল। এর পর যথাক্রমে এসেছে জন অভিযোগের নিষ্পত্তি, সু্স্বাস্থ্যের আশ্বাস, সম্পত্তি এবং জলের করে ছাড়, ওয়াটার এটিএম তৈরি করে বিনামূল্যে পরিশ্রুত জল পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা, হকারদের জন্য শংসাপত্র এবং পুনর্বাসনের প্রতিশ্রুতি এবং পুরকর্মীদের জন্য সুস্থ পরিবেশের আশ্বাস।
ত্রিপুরার বিধানসভা ভোটেই লক্ষ্য স্থির করেছে তৃণমূল। তবে তার এখনও কিছুটা দেরি। শেষ নভেম্বরের আগরতলার পুরভোটকে ত্রিপুরার বাসিন্দাদের মন বোঝার লিটমাস পরীক্ষা বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তাই তৃণমূলও পুরভোটকে যথাযথ গুরুত্ব দিয়েই লড়াইয়ে নামতে চাইছে।