গত দুই দশকে বিশ্বের মোট সম্পদ বেড়েছে তিনগুণ। এর মধ্যে যে দেশটিতে সম্পদের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি বেড়েছে, সে হল চিন। ফলে আমেরিকাকে টপকে এখন চিনই হয়ে উঠেছে বিশ্বের ধনীতম দেশ।
ম্যাকিনসে অ্যান্ড কোম্পানির রিপোর্টে জানা গিয়েছে এই তথ্য। বিশ্বের ৬০ শতাংশ পুঞ্জীভূত হয়েছে এমন ১০ টি দেশের ব্যালান্স শিট পরীক্ষা করেছে ম্যাকিনসে। তা থেকেই জানা গিয়েছে, চিনই এখন বিশ্বের ধনীতম দেশ।
জুরিখে ম্যাকিনসে গ্লোবাল ইনস্টিটিউটের অংশীদার জাঁ মিসচকে বলেন, আমরা এখন আগের চেয়ে বেশি সম্পদের অধিকারী। ২০০০ সালের বিশ্বের মোট সম্পদের মূল্য ছিল ১৫৬০০০ কোটি ডলার।
বর্তমানে বিশ্বের মোট সম্পদের মূল্য ৫১৪০০০ কোটি ডলার। ২০০০ সালে চিনের সম্পদের পরিমাণ ছিল ৭ হাজার কোটি ডলার। বর্তমানে তার পরিমাণ ১২০০০০ কোটি ডলার।
গত ২০ বছরে আমেরিকার সম্পদ বেড়েছে দ্বিগুণ। তার সম্পদের মূল্য এখন ৯০০০০ কোটি ডলার। বিশ্বের সম্পদের দুই তৃতীয়াংশের বেশি রয়েছে অতি ধনী ১০ শতাংশ মানুষের হাতে। তাদের সম্পদ ক্রমশ বেড়েই চলেছে।
চিনের দাবি, তাইওয়ান তাদের ভুখণ্ড দখল করে রেখেছে। আর তাইওয়ানকে এ ব্যাপারে মদত করছে মার্কিনযুক্তরাষ্ট্র। তা ছাড়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলেও অস্ট্রেলিয়া, ভারত, ব্রিটেনের সঙ্গেও বেজিংয়ের ঠান্ডাযুদ্ধ চলছে। পরিস্থিতি যখন এমনই তখন পেন্টাগনের এই রিপোর্ট যেন আগুনে ঘি ঢেলেছে।
ম্যাকিনসের হিসাব মতো, বিশ্বের মোট সম্পদের ৬৮ শতাংশ ব্যয় করা হচ্ছে রিয়েল এস্টেটে। পরিকাঠামো, মেশিন ইত্যাদির পিছনেও ব্যয় করা হচ্ছে বিপুল সম্পদ। কিন্তু মেধাসম্পদ বা পেটেন্টের পিছনে ব্যয় করা হচ্ছে অনেক কম।
এর মধ্যে চিনের পরমাণু অস্ত্র নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আমেরিকা। গত অক্টোবরে পেন্টাগন বলেছিল ২০৪৯ সালের মধ্যে চিন চারশ পরমাণু অস্ত্র তৈরি করার পরিকল্পনা নিয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি যে রিপোর্ট মার্কিন গোয়েন্দারা দিয়েছেন তাতে বলা হচ্ছে সময়সীমা ২০৪৯-ও নয় আর সংখ্যাটা ৪০০-ও নয়।
তাহলে কী? পেন্টাগনের রিপোর্ট অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে এক হাজার পরমাণু অস্ত্র বানানোর লক্ষ্য নিয়েছে বেজিং। যে রিপোর্ট তোলপাড় ফেলে দিয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে।
শুধু সংখ্যাই নয়। সদ্য প্রকাশিত পেন্টাগনের গোপন রিপোর্টে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনী তো বটেই নৌ ও বিমানবাহিনীও যাতে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে তার জন্য পরিকাঠামো তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছে চিন। দক্ষিণ চিন সাগরে আমেরিকার সঙ্গে চিনের যে সংঘাত চলছে তা নতুন মাত্রা পেল এই রিপোর্ট প্রকাশের পর।