ত্রিপুরায় আজ নির্বাচনী ইস্তেহার ঘোষণা করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ত্রিপুরা পুরভোটের ৯দিন আগে এই ইস্তেহার প্রকাশ করবে তৃণমূল। ইস্তেহারে গুরুত্ব দেওয়া হবে সরাসরি জনসংযোগ, ক্রীড়া, নিকাশি, পানীয় জল ও নারী নিরাপত্তায়।
পুরনির্বাচন স্থানীয় স্তরে সীমাবদ্ধ থাকলেও আসলে আগামী ২০২৩ এর বিধানসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে এখন থেকেই কোমর বেঁধে লড়াই করার প্রস্তুতি নিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ তৃণমূল সূত্রে খবর, স্থির হয়েছে আগামী দিনে পুরবোর্ড দখলে আসলে যিনি চেয়ারম্যান বা মেয়র হবেন তিনি সরাসরি যোগাযোগ রাখবেন বাসিন্দাদের সঙ্গে।
অনেকটা দিদিকে বলো বা টক টু মেয়র ধাঁচে সরাসরি নাগরিকরা তাদের সঙ্গে কথা বলবেন। প্রয়োজনীয় সাহায্য চাইলে মিলবে৷ এর ফলে ভায়া বা কোনও মাধ্যম হয়ে নয়৷ জনগণের সুবিধা-অসুবিধা সরাসরি বুঝতে পারবেন নির্বাচিত প্রতিনিধিরা। প্রসঙ্গত, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব কিছুদিন আগেই চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রীকে বলো। যা নিয়ে তৃণমূল শিবিরের তরফে একাধিকবার কটাক্ষ করা হয়েছে৷ এর পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেস জোর দেবে খেলাধূলাতেও।
ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি পার্ক চিহ্নিত করা হয়েছে যেখানে ক্রীড়া পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে৷ রাজনৈতিক মহলের মতে, বাংলার ভোটে খেলা হবে স্লোগানকে সামনে রেখেই প্রচার করেছিল তৃণমূল। এবার সেই প্রচারে অঙ্গ হিসাবেই ক্রীড়া ক্ষেত্রে জোর দেবে জোড়াফুল শিবির।অন্যদিকে বেহাল রাস্তা, দুর্ভোগে আগরতলাবাসী! এই ইস্যুতে প্রচার করছে তৃণমূল। আগরতলার বেশিরভাগ রাস্তাই খানা-খন্দে ভরা, যা দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বহুলাংশে বাড়িয়ে তুলেছে।
রাস্তার বেহাল দশায় চলাফেরা হয়ে উঠেছে ঝুঁকিপূর্ণ। আগরতলা পুরনিগমের ব্যর্থতা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট অভিযোগ জোড়া ফুল শিবিরের।আজ দুপুর একটা নাগাদ প্রকাশ হবে তৃণমূলের ইস্তেহার। থাকবেন সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়, সাংসদ সুস্মিতা দেব, মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, বিধায়ক জুন মালিয়া, বিধায়ক সোহম চক্রবর্তী, নেত্রী অর্পিতা ঘোষ, ত্রিপুরা স্টিয়ারিং কমিটির আহ্বায়ক সুবল ভৌমিক প্রমুখ।