একুশের ভোটযুদ্ধে বিজেপিকে রুখে দিয়ে বাংলায় তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। আর তারপরেই ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে শুরু হয়েছে অন্যান্য রাজ্যের সংগঠন বিস্তার এবং নিজেদের অস্তিত্ব জানান দেওয়ার চেষ্টা। আর এই লক্ষ্যে তৃণমূল নেতৃত্বের নজর এখন ত্রিপুরার পাশাপাশি গোয়াতেও। ত্রিপুরায় বিধানসভা ভোট ২০২৩ সালে। আর আগামী বছরই ভোট রয়েছে দেশের পশ্চিম প্রান্তের ছোট্ট রাজ্য গোয়ায়। ইতিমধ্যে গোয়া সফর করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। গোয়াবাসীকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বাংলার জনকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলিকে ক্ষমতায় এলে গোয়াবাসীর জন্যও রূপায়িত করার। কিন্তু তার আগেই নাকি তৃণমূল নেত্রীকে টুকলি করতে শুরু করেছেন প্রমোদ সাওয়ান্ত! এমনটাই অভিযোগ ঘাসফুল শিবিরের।
শনিবার গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত টুইট করে জানিয়েছিলেন, রবিবার রাজ্যে তিনি নতুন প্রকল্পের সূচনা করতে যাচ্ছেন। সেই প্রকল্পের নাম ‘সরকার তুমচ্ছা দারি’। বাংলায় যার অর্থ দুয়ারে সরকার। এই নিয়েই ময়দানে নেমেছ তৃণমূল। তাদের অভিযোগ, বিজেপির ওই প্রকল্প আসলে ‘দুয়ারে সরকার’-এর হুবহু নকল প্রকল্প। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রকল্পকেই নিজের মতো করে গ্রহণ করে অন্য নাম দিয়েছেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত। টুইটারে এ নিয়ে বিজেপিকে খোঁচাও দিয়েছে ঘাসফুল শিবির। তৃণমূলের দাবি, কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের অর্ধেকের বেশি প্রকল্প বাংলা মডেলকে অনুসরণ করে করা। এখন সেই পথে হাঁটছে গোয়ার বিজেপি সরকারও।
প্রসঙ্গত, আগামী বছরের শুরুতেই ৪০ আসনের গোয়া বিধানসভায় ভোট। আর সেখানেই বড় সংখ্যায় আসন দখলের লক্ষ্যে এগোচ্ছে তৃণমূল। ইতিমধ্যেই বিধানসভা ভোটের প্রচারও শুরু করে দিয়েছে ঘাসফুল শিবির। গোয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে। পাশাপাশি বাংলা থেকে রাজ্যসভায় পাঠানো হবে গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্তমানে তৃণমূল নেতা লুইজিনো ফেলেইরোকে। উল্লেখ্য, ৪০ আসনের গোয়া বিধানসভায় বর্তমানে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ২৭, কংগ্রেসের ৫, গোয়া ফরোয়ার্ড পার্টির ৩, এনসিপির ১, মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টির ১ ও নির্দলদের হাতে রয়েছে ৩টি আসন। যদিও ২০১৭ সালে ফল এমন হয়নি। সে সময় গোয়ায় কংগ্রেস পেয়েছিল ১৭টি আসন। বিজেপি পেয়েছিল মাত্র ১৩টি আসন। কিন্তু দলবদলের খেলায় সেই দান পাল্টে যায়। এবার তাই বিজেপির বিরুদ্ধে নিজেদের একমাত্র শক্তিশালী বিরোধী হিসাবে প্রমাণ করতে চাইছে তৃণমূল।