এসপি-র কাছে নালিশ জানাতে গিয়ে হেনস্থার শিকার ত্রিপুরার তৃণমূল প্রার্থী পান্না দেব। অভিযোগ, পুলিশ তাঁকে জেলাশাসকের অফিসে ঢুকতে তো দেয়নি উপরন্তু তাঁকে চ্যাংদোলা করে বের করে দিয়েছে।
প্রচার করে বাধা দিচ্ছে পুলিশ। সুপারের কাছে এমনটাই অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন আগরতলা পুরনিগমের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী পান্না দেব। তাঁর দাবি, শাসক দলের কর্মীরা তাঁকে প্রচার করতে বাধা দিচ্ছে। পোস্টার ব্যানার ছিঁড়়ে দিচ্ছে। এমনই একগুচ্ছ অভিযোগ নিয়ে আগরতলায় পুলিশ সুপারের কাছে গিয়েছিলেন পান্না। স্থানীয় থানায় গিয়েও কোনও কাজ হয়নি। এখন সুপারের অফিসে গিয়ে হেনস্থার শিকার হতে হয় তাঁকে। অভিযোগ নেওয়া হয়নি। এর পাশাপাশি তাঁকে অফিস থেকে বের করে দেয় পুলিশ।
তৃণমূল প্রার্থীর অভিযোগ, প্রথম তাঁকে এসপির অফিস থেকে বের করে দেওয়া হয়। তারপর তিনি যে গাড়ি চড়ে এসপির অফিসে গিয়েছিলেন সেই গাড়িতেই তাঁকে রওনা করিয়ে দেওয়া হয়। তৃণমূল কংগ্রেস বাররাই অভিযোগ করে আসছে তাদের রাজ্যে প্রচার করতে দেওয়া হচ্ছে না।
ওই ঘটনা নিয়ে তৃণমূল নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ত্রিপুরা শুধু নয় গোটা দেশ দেখছে বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায় গণতন্ত্রের কী অবস্থা! একটি অগণতান্ত্রিক সরকার ওখানে চলছে। একটি পুর নির্বাচনে সুপ্রিম কোর্ট হস্তক্ষেপ করেছে এমন নজির নেই। সুপ্রিম কোর্ট বলে দিয়েছে প্রত্যেক প্রার্থীকে প্রচার করতে দিতে হবে। ডিজিকে বলা হয়েছে প্রত্যেক প্রার্থী টিকঠাক প্রচার করতে পারছে কিনা জানাও। তাদের সুরক্ষা দিতে হবে। কিন্তু আমাদের প্রার্থীকে মারধর করা হচ্ছে , ফ্ল্যাগ ফেস্টুন জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। প্রার্থী-কর্মী-সমর্থকরা আক্রান্ত হচ্ছেন। প্রশাসনের কাছ সাহায্যের জন্য গেলে তাঁকে চ্যাংদোলা করে বের করে দেওয়া হচ্ছে। এর থেকে দুর্ভাগ্যের কী হতে পারে। মানুষ দেখতে পাচ্ছে একটা স্বৈরাচারী সরকার চলছে ত্রিপুরায়’।