কথা ছিল, রাজ্যসভার প্রার্থী হিসেবে মঙ্গলবার মনোনয়ন জমা দেবেন তৃণমূল শিবিরের প্রার্থী, গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফ্যালেইরো। তবে মঙ্গলবার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে রাজি হলেন না তিনি। সোমবার দুপুরেই বিধানসভায় এলেন লুইজিনহো। ডেপুটি স্পিকারের সঙ্গে দেখা করে জমা দিলেন গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। সংগঠনের কাজের জন্য ১৫ সেপ্টেম্বর রাজ্যসভার
সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন অর্পিতা ঘোষ। তাঁর ছেড়ে যাওয়া আসনেই প্রার্থী হিসেবে লুইজিনহোকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সিদ্ধান্তকেই আজ একধাপ এগিয়ে নিয়ে গেলেন ফ্যালেইরো। প্রার্থীপদে মনোনয়ন পেশ করলেন তিনি।রাজ্যসভায় অর্পিতা ঘোষের ছেড়ে যাওয়া আসনে নতুন প্রার্থীর নাম গত ১৩ তারিখই ঘোষণা করেছিল তৃণমূল। টুইট করে গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা লুইজিনহোর নাম ঘোষণা করেছেন। এই আসনে ভোট হবে ২৯ নভেম্বর। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরপরই জাতীয় স্তরে নতুন পদ পেয়েছিলেন গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। গত মাসে তাঁকে দলের জাতীয় সহ-সভাপতি হিসেবে নিয়োগ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। এরপর বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতাকে রাজ্যসভার প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নেয় তৃণমূল।
আগামী বছর গোয়ার বিধানসভা ভোটে লড়বে তৃণমূল। তার জন্য ইতিমধ্যেই ঘুঁটি সাজাতে শুরু করে দিয়েছে বাংলার শাসকদল। দলে নেওয়া হয়েছে একাধিক তারকাকে। আর এবার সেখানে সাংগঠনিক শক্তি বাড়াতে সাতবারের বিধায়ক ফ্যালেইরোকে রাজ্যসভার সাংসদ পদে মনোনীত করা হয় বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের। এছাড়া সর্বভারতীয় স্তরে নিজেদের লড়াইয়ের পথ আরও মসৃণ করতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সিদ্ধান্ত, মত রাজনৈতিক মহলের।
অর্পিতার সেই ছেড়ে যাওয়া আসনে ২৯ নভেম্বর উপনির্বাচন হবে। যদিও এই পদে বিজেপি বা অন্য কোনও দল লড়বে কিনা, তা এখনও অজানা। যদি কেউ প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করেন, তাহলে বিনাযুদ্ধেই রাজ্যসভার সাংসদ হবেন গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। এর আগে পশ্চিমবঙ্গ থেকে রাজ্যসভার দুটি আসনে নির্বাচনের ক্ষেত্রে বিরোধীরা কোনও প্রার্থী না দেওয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে তৃণমূল। সংসদের উচ্চকক্ষের নতুন সাংসদ হয়েছেন জহর সরকার, সুস্মিতা দেব। এবার সেই সারিতে বসার জন্য একধাপ এগোলেন লুইজিনহো ফ্যালেইরো।