এবার বাংলার ১২টি রাস্তা ও সেতুর জন্য বরাদ্দ প্রায় ৩৬ কোটি টাকা আটকে গিয়েছে বলে জানা গেল। সূত্র অনুযায়ী, দেশের মোট নটি রাজ্যের ১৫১টি রাস্তা এবং ১২টি সেতু নির্মাণের অনুদান বন্ধ করে দেওয়া হল। বিষয়টি রাজ্যগুলিকে চিঠি দিয়ে জানিয়েও দেওয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ওই রাস্তা ও সেতুর জন্য প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনা (পিএমজিএসওয়াই)-র টাকা আর ব্যবহার করা যাবে না। রাজ্যগুলি চাইলে নিজস্ব তহবিল থেকে সেই কাজ শেষ করতে পারবে। পিএমজিএসওয়াই ১ ও ২ প্রকল্পে যে সব রাস্তা ও সেতু তৈরির অনুমোদন গত বছর ১লা এপ্রিলের আগে দেওয়া হয়েছিল, সেসবের নথিপত্র গত মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে নির্দিষ্ট পোর্টালে আপলোড করতে হবে বলে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন দপ্তর একাধিক চিঠিতে জানিয়েছিল। কিন্তু তারপরও অনেকেই সেটা করেনি। তাই কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যেসব রাস্তা ও সেতুর তথ্য আপলোড করা যায়নি, তাদের টাকা আর দেওয়া হবে না। প্রকল্পগুলিকে কার্যত পিএমজিএসওয়াই আওতার বাইরে করে দেওয়া হল। আর কোনওরকম আবেদন-নিবেদন রাজ্যগুলির থেকে শোনা হবে না বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে মোদীর সরকার।
যে ন’টি রাজ্যে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, সেগুলি হল বিহার, ছত্তিশগড়, কেরল, লাদাখ, মধ্যপ্রদেশ, ওড়িশা, ত্রিপুরা, উত্তরাখণ্ড এবং বাংলা। এর মধ্যে সর্বাধিক রাস্তা ও ব্রিজের টাকা আটকে গিয়েছে ছত্তিশগড়ে (৯১)। তারপরেই আছে বিহার (৩৪) এবং বাংলা (১২)। এইখাতে হুগলী জেলায় পাঁচটি রাস্তার টাকা বন্ধ করেছে কেন্দ্র। সবকটাই পিএমজিএসওয়াই ১ প্রকল্পের। এর মধ্যে সিমলাপাল থেকে হুগলী স্টেশন, জনাই স্টেশন রোড থেকে মাইতি হাইস্কুল ইত্যাদি আছে। হাওড়ার কোঠাইপাড়া থেকে পুলিয়া সর্দার বাগলাপাড়া এবং জয়পুর বিল থেকে মাঝেরহাট পর্যন্ত রাস্তার টাকাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তালিকায় রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার দু’টি রাস্তাও। তার মধ্যে একটি গোসাবার। উত্তর ২৪ পরগনা ও শিলিগুড়ির একটি সেতুর নথিও বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে আপলোড না করায় টাকা বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র।
এখানেই শেষ নয়।।কেন্দ্রের আরও হুঁশিয়ারি, ২০২০ সালের পয়লা এপ্রিল বা তারপরে যেসব রাস্তার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, তারও নথিপত্র ৩০শে নভেম্বরের মধ্যে আপলোড করতে হবে। তা না হলে একই পরিণতি হবে। এছাড়াও পিএমজিএসওয়াই ১ ও ২ প্রকল্পের অনুমোদিত যে কোনও রাস্তা বা সেতুর কাজ যদি ৩১শে ডিসেম্বরের মধ্যে শুরু না করা যায়, সেক্ষেত্রেও টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হবে।