একুশের বিধানসভা নির্বাচনে প্রতি ১ হাজার ভোটারের জন্য একটি করে বুথ নির্দিষ্ট করেছিল কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। প্রশাসন সূত্রে খবর, রাজ্যে আসন্ন কলকাতা এবং হাওড়া পুরনির্বাচনে বাড়তে পারে বুথপিছু ভোটার সংখ্যা। শনিবার রাজ্য প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস বৈঠক করেছেন। সূত্রের দাবি, দুই পুরসভার ভোটে প্রতি ১২০০ ভোটারের জন্য একটি বুথ নির্দিষ্ট করা হতে পারে। এর বাইরে অতিরিক্ত ভোটারদের জন্য থাকবে ‘অগজিলিয়রি বুথ’। সরকারি সূত্রের দাবি, কোভিড পরিস্থিতির কথা বিচার করেই বিধানসভায় এক হাজার ভোটারপিছু একটি বুথ করা হয়েছিল। কোভিড পরিস্থিতি তুলনায় উন্নত হওয়ায় বুথপিছু ভোটার সংখ্যা বাড়ছে। সূত্রের খবর, ১৭ই নভেম্বর ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন। তার ভিত্তিতে ভোট হবে ওই দুই পুরসভায়।
প্রসঙ্গত, এদিন রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, স্বরাষ্ট্রসচিব ভগবতীপ্রসাদ গোপালিকা, স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালবীয়। প্রশাসন সূত্রের খবর, করোনা এবং নিরাপত্তা বিষয়ে পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা নিয়েই আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। ইতিমধ্যেই বৈদ্যুতিন ভোটযন্ত্রের (ইভিএম) প্রথম পর্যায়ের যাচাই প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে কমিশন। ভোটের সময় সেই ইভিএম ব্যবহৃত হবে। কলকাতা পুরসভা এলাকায় প্রায় ৪৭০০টি বুথ রয়েছে। কমিশনের পরিকল্পনা চূড়ান্ত হলে বুথসংখ্যা বেড়ে হবে ৫২০০। বালি-সহ হাওড়া পুরসভাতে বুথসংখ্যা ১২০০-র আশেপাশে। হাওড়া থেকে বালি পুরসভার বাদ যাওয়া আনুষ্ঠানিক ভাবে হলে তার পরে চূড়ান্ত হবে হাওড়া পুর-এলাকার বুথসংখ্যা।
উল্লেখ্য, প্রথম থেকেই নিরাপত্তা নিয়ে নিশ্চিত থাকতে চাইছে কমিশন। তাই এদিন প্রশাসনের শীর্ষকর্তাদের নিরাপত্তা-রূপরেখা দ্রুত জমা দেওয়ার অনুরোধ করেছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। রাজ্যের থেকে রূপরেখা পাবার পরে কমিশন তার মতামত রাজ্যকে জানাবে। তবে এ দিন কমিশনার স্পষ্ট করে দিয়েছেন, অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ ভোট পরিচালনা নিশ্চিত করার মতো পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে রাজ্য প্রশাসনকে। পুলিশ, ভোটকর্মীর সংখ্যা জেনে নিজেদের প্রস্তুতি চূড়ান্ত করবে কমিশন। তবে পুরনির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার করা হবে কি না, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি প্রশাসন সূত্র।