ইতিমধ্যেই ত্রিপুরা ও গোয়াতে সংগঠন পোক্ত করেছে তৃণমূল। সুস্মিতা দেব তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফাইলেরোকে রাজ্যসভায় প্রার্থী করেছে ঘাসফুল শিবির। এবার মণিপুর, পঞ্জাব এবং উত্তরপ্রদেশ নিয়েও সাংগঠনিক পরিকল্পনা শুরু করে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। সেই সূত্রে এই তিন রাজ্যের পরিচিত তিন মুখকে সংসদে পাঠানোর কথাও ভাবা হচ্ছে। শেষ পযর্ন্ত এই পরিকল্পনা চূড়ান্ত হলে এ রাজ্যের আরও দু’তিন সাংসদকে রাজ্যসভার সদস্যপদ ছেড়ে দিতে হবে। বিধানসভা ভোটে বিপুল জয়ের পরে অন্য রাজ্যে পা রাখার কথা আগেই ঘোষণা করেছে তৃণমূল। তা যে ভোটে জয়ের জন্য, সেই বার্তা দিতে অসম ও গোয়ার রাজনীতির দুই পরিচিত রাজনীতিককে সংসদে জায়গা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সে ভাবেই আরও দু’তিনটি রাজ্যের জন্য এখন থেকেই ভাবনা শুরু হয়েছে দলের শীর্ষস্তরে।
প্রসঙ্গত, আগামী বছরেই ওই তিন রাজ্যেও নির্বাচন। সে ক্ষেত্রে এই রাজ্যগুলিতে দলের রাজনৈতিক ভূমিকা চূড়ান্তের পরই সাংসদ পদে সেখানকার রাজনৈতিক বা সামাজিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত মানুষকে সংসদে পাঠানোর বিষয়টি নিয়ে কথা হবে। এই ভাবনা থেকেই উত্তর পূর্বে পরিচিত সন্তোষমোহন দেবের কন্যা সুস্মিতা এবং গোয়ার লুইজিনহো ফাইলেরোকে দল সংসদে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মণিপুরে, পঞ্জাব এবং উত্তরপ্রদেশে অন্য দল থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া নেতাদের সঙ্গে নিয়ে সেখানে বিধানসভার লড়াইকে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে সুম্মিতা ও লুইজিনহোর মতো মুখ বেছে নেবেন দলীয় নেতৃত্ব। রাজ্যের ১৬টি রাজ্যসভার আসনের ১২টি তৃণমূলের দখলে। এ মাসে আরও একটি যোগ হবে। অন্য রাজ্যের কাউকে দলের সাংসদ করতে হলে এই ১৩ জনের মধ্যে থেকেই জায়গা দিতে হবে। দলের এক শীর্ষনেতার কথায়, “এবারের বিধানসভা ভোটের পর তৃণমূলের কাছে প্রত্যাশা বেড়েছে। বিভিন্ন রাজ্য থেকে নানা প্রস্তাব এসেছে। সে ক্ষেত্রে কোথায় কী ভাবে বিজেপিকে হারানো যাবে, দল নিজের মতো করে হিসেব করে সেই কৌশল তৈরি করছে। আবার এই পথেই যে সব সিদ্ধান্ত হবে তেমনও নয়।”