সীতার পাতালপ্রবেশ নিয়ে মন্তব্যের ঘটনায় কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করেছে ত্রিপুরা পুলিশ। ওই মামলায় শুক্রবার ঘণ্টা দেড়েক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদককে। এ দিন থানায় রামায়ণ সংক্রান্ত একাধিক বই নিয়ে হাজির হন কুণাল। থানা থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, ‘পুলিশই ঠিক করে দিক রামায়ণের কোন অংশ ব্যবহার করা যাবে, আর কোনটা যাবে না।’
রাজ্য রাজনীতিতে বিজেপির জয় শ্রীরাম স্লোগান নিয়ে সংঘাত কম হয়নি। এবার সীতাকে নিয়ে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের মন্তব্যে পড়শি রাজ্য ত্রিপুরায় লঙ্কাকাণ্ড। গত মাসে ত্রিপুরার এক পথসভায় তৃণমূল নেতা প্রশ্ন তুলেছিলেন,রাম রাজ্যে কেন সীতা পাতালপ্রবেশ করেছিলেন?এর পর তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করে বিপ্লব দেব সরকারের পুলিশ। সেই মামলায় ইতিমধ্যেই তিনি থানায় হাজিরা দিয়েছেন। বুধবার নতুন করে আরও চারটি মামলার খবর আসে। পুলিশের সমন পেয়ে বৃহস্পতিবার আগরতলায় পৌঁছন কুণাল। সঙ্গে নিয়ে যান বাল্মীকির রামায়ণ, নবনীতা দেবসেন, নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ির লেখা রামায়ণ সম্পর্কিত বই এবং অক্সফোর্ডে প্রকাশিত রামায়ণ সম্পর্কিত গবেষণাপত্র। সেই সব বইপত্র বগলদাবা করে শুক্রবার উদয়পুরের কাছে বাগমা ফাঁড়িতে ঢোকেন কুণাল।
সেখানে তাঁকে একসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করেন ৪টি থানার তদন্তকারী অফিসাররা। প্রায় দেড় ঘণ্টা চলে জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব। থানা থেকে বেরিয়ে কুণাল বলেন,’বিজেপি কেন জয় শ্রীরাম বলে তৃণমূলের উপর হামলা করছে? ওরা রাম বললে আমি কেন মা সীতার অপমান ও পাতালপ্রবেশের কথা বলতে পারব না? হয় রাজনীতিতে ধর্ম ব্যবহার বন্ধ হোক। নয়তো পুলিশ বলে দিক রামায়ণের কোন অংশ ব্যবহার করা যাবে, আর কোনটা যাবে না।’
চলতি মাসের ২৫ তারিখ রাজধানী আগরতলা-সহ একাধিক পুরসভায় ভোট। তৃণমূল নেতৃত্ব মনে করছে, সে রাজ্যে পুরভোটের আগে পুলিস-প্রশাসনকে দিয়ে দলের নেতা-কর্মীদের ভয় দেখাতে চাইছে বিপ্লব দেব সরকার।