ত্রিপুরায় যেন প্রতিহিংসার রাজনীতি চলছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে! দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে আরও চারটি মামলা রুজু হয়েছে বিপ্লব রাজ্যে। ত্রিপুরার জনসভায় করা কুণাল ঘোষের দুটি মন্তব্যের প্রেক্ষিতে চলতি সপ্তাহে আরও তিনটি মামলা রুজু হয়েছিল। সেই সূত্রে অমরপুর, ওম্পি থানা থেকে নোটিসও পাঠানো হয়েছিল তৃণমূল নেতাকে। তারও আগে আরও দুটি মামলা হয়েছিল কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে। ফলে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে এ নিয়ে মোট ৯ টি মামলা দায়ের হয়েছিল। আর সেই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বৃহস্পতিবারই ত্রিপুরায় গিয়েছিলেন কুণাল। এদিন তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু করেছে ত্রিপুরা পুলিশ।
শুক্রবার ত্রিপুরায় কুণাল ঘোষকে একসঙ্গে জেরা করছে চার থানার পুলিশ। আগরতলা থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে উদয়পুরের কাছে বাগমা ফাঁড়িতে জেরা চলছে বলে জানা গিয়েছে। রয়েছেন ওমপি, বীরনগর, আর কে পুর ও কাঁকড়াবন থানার তদন্তকারী অফিসাররা। ফাঁড়ি ঘিরে রেখেছে বিরাট পুলিশ বাহিনী। পুলিশের বক্তব্য, কুণাল কেন ভাষণে সীতার পাতালপ্রবেশ টেনেছেন? এটা তো ধর্মের বিষয়। কুণালের সাফ কথা, বিজেপি কেন জয় শ্রীরাম বলে তৃণমূলের উপর হামলা করছে ? কেন রামরাজ্য বলছে? ওরা রাম বললে আমি কেন মা সীতার অপমান ও পাতালপ্রবেশ বলতে পারব না? তিনি স্পষ্ট বলেন, হয় রাজনীতিতে ধর্ম ব্যবহার বন্ধ হোক। অথবা পুলিশ বলে দিক রামায়ণের কোন কোন অংশ ব্যবহার করা যাবে কিংবা যাবে না।
কুণাল এদিন বাল্মীকি রামায়ণ সহ রামায়ণ গবেষণার ছটি বই এবং আন্তর্জাতিক গবেষণার নথি নিয়ে যান। তিনি বলেন, ”আমি বিশেষজ্ঞদের লেখার বাইরে কোন কথা বলিনি। তাই মহাকাব্যের উপর ভিত্তি করে কোন অভিযোগ হতে পারে না। এটা বিজেপির রাজনৈতিক দেউলিয়াপনা।’ উল্লেখ্য, ত্রিপুরায় হওয়া একের পর এক মামলা প্রসঙ্গে গতকালই টুইটে কুণাল লিখেছিলেন, ‘ত্রিপুরা সরকার আমার নামে আরও চারটি মামলা দিল। হুবহু এক ধারায়। এখনও পর্যন্ত এই ইস্যুতে ৯টি মামলা হল। ওরা জয় শ্রীরাম বলে হামলা করবে। আমি সীতার পাতালপ্রবেশ বললে মামলা…’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘ত্রিপুরাতেও বিজেপি একেবারে কোণঠাসা। ওরা ভয় পেয়ে গিয়েছে একদম। তৃণমূলের নেতাদের হামলা-মামলা এসব দিয়ে ব্যতিব্যস্ত করার চক্রান্ত করছে ওরা। আবার তিনটে মামলা দিয়েছে তাই।’