এবার বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি এলন মাস্কের সংস্থা স্পেস এক্সের মুকুটে যোগ হল নয়া সাফল্যের পালক। বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৩ মিনিটে (ভারতীয় সময় অনুযায়ী সকাল ৭টা ৩৩ মিনিট) নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে মহাকাশে পাড়ি দিল সংস্থার ফ্যালকন ৯ রকেট। এই নিয়ে এলনের সংস্থার এটি চতুর্থ অভিযান। জানা যাচ্ছে, ওই রকেটে চার নভোশ্চর রয়েছেন। তাঁরা আগামী ৬ মাস আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে থাকবেন। এঁদের মধ্যে রয়েছেন নাসার রাজা চারি, টম মার্শবার্ন ও কাইলা ব্যারন।এছাড়াও রয়েছেন ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির ম্যাথিয়াস মৌরার। তাঁদের মধ্যে রাজা চারি ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক। ভূপৃষ্ঠ থেকে ৪০০ কিমি উপরে অবস্থিত মহাকাশ স্টেশনেই আপাতত তাঁদের বসবাস হবে।
উল্লেখ্য, প্রাথমিক ভাবে ঠিক ছিল ৩১শে অক্টোবর উৎক্ষেপিত হবে রকেটটি। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারণে কয়েকদিন দেরি করেই অবশেষে আকাশে উড়ল এলনের নতুন মহাকাশযান ‘ক্রু ড্রাগন এনড্যুরান্স’ ক্যাপসুল। ২০২০ সালের মে মাসে প্রথমবার স্পেস এক্স ও নাসার যৌথ প্রয়াসে দু’জন নভোশ্চরকে নিয়ে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিল মহাকাশযান। সেটা ছিল পরীক্ষামূলক উড়ান। এরপর দু’ম’টি অভিযান সফল হওয়ার পর এটি তাদের তৃতীয় যৌথ প্রয়াস। তাই এই অভিযানের নাম ‘ক্রু-৩’।
প্রসঙ্গত, মহাকাশ অভিযানে বেসরকারি উদ্যোগেও নয়া সাফল্য পেতে মরিয়া সংস্থাটি। এদিকে এদিনের অভিযানের মাধ্যমে মহাকাশে ৬০০ জন নভোশ্চর পাঠিয়ে নতুন কীর্তি গড়ল আমেরিকা। মহাকাশে আধিপত্য বিস্তারে একসময় রাশিয়ার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল তাদের। সেই প্রতিযোগিতায় নতুন দেশ চীন। তবু সামগ্রিক ভাবে এযাবৎ আমেরিকার যে সাফল্য তা নিশ্চিত ভাবেই তাদের সবচেয়ে এগিয়ে রেখেছে। এলন মাস্কের মতো ধনকুবের এতে উৎসাহী হওয়ায় আমেরিকার মহাকাশ-সাফল্য আরও নতুন নতুন মাইলফলক ছুঁতে পারে বলেই অনুমান ওয়াকিবহাল মহলের।