একুশের ভোটে ভরাডুবির পর থেকেই বিজেপির অন্দরে শুরু হয়ে গিয়েছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, দোষারোপের পালা। দলের ওপর ক্ষোভ উগরে দিয়ে শিবির বদলাচ্ছেন একের পর এক নেতা-বিধায়ক। এরই মধ্যে রাজ্য বিজেপিতে শুভেন্দু বিরোধীরা আবার ফোঁস করা শুরু করে দিল।
হাওড়া জেলা নেতৃত্বর সঙ্গে হাওড়া কর্পোরেশনের ভোট প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠক করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী সুকান্ত মজুমদাররা। সেই বৈঠকে কমিটি নিয়ে কার্যত শুভেন্দুর বিরুদ্ধেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন হাওড়া শহর বিজেপির সভাপতি সুরজিৎ সাহা ও আরও অনেকে। বিধানসভার দলনেতাকে নারদা কাণ্ড তুলে খোঁচা দিতে ছাড়েননি তাঁরা। আর তার পরেই জেলার বিক্ষুব্ধ নেতৃত্বকে রীতিমত ধমক লাগান শুভেন্দু। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সামনেই, শুভেন্দু বলেন, এই ঐক্য নিয়ে আপনারা হাওড়ায় লড়াই করবেন। পরস্পরের বিরুদ্ধে কুৎসা করা থেকে বিরত থেকে আগে ভোটটা লড়ুন। এরপরেই, শুভেন্দুর সেই বিস্ফোরক অভিযোগ হাওড়া জেলা নেতৃত্বের উদ্দেশ্যে, ‘হাওড়ার বিজেপি নেতৃত্ব তো তৃণমূলের অরূপ রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।’
রাজনৈতিক মহলের মতে, জেলা নেতৃত্বকে উদ্দেশ্য করে বললেও, আসলে শুভেন্দুর নিশানায় হাওড়া জেলার নেতা, বর্তমান রাজ্য সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য সঞ্জয় সিং ও তাঁর অনুগামীরা। শুধু তাই নয়, বরাবর হাওড়া জেলা কমিটিতে আদি বিজেপির প্রভাবই বেশি৷ স্বাভাবিক কারণেই হাওড়া জেলা বিজেপি বিধানসভা ভোটের আগে দলবদলু নেতাদের দাপাদাপি মেনে নিতে পারেনি। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের চাপে তাঁরা এতদিন সেসব হজম করেছিলেন। তৃণমূলের এই সব নেতা, নেত্রীদের ছাড়া রাজ্যে সরকার করা যাবে না— কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের এই নির্দেশ অনিচ্ছা সত্ত্বেও মানতে হয়েছিল তাঁদের। কিন্তু ভোটে ভরাডুবির পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এখন আর কাউকেই তাঁরা রেয়াৎ করতে চান না।