ছট পুজো করা যাবে না রবীন্দ্র সরোবরে। জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশ ছিল এমনই। তবে বিধিনিষেধকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ২০১৯-এ রবীন্দ্র সরোবরে ছট পুজো হয় । এবছর যাতে তার পুনরাবৃত্তি না হয়, তার জন্য তত্পর রাজ্য পুলিশ-প্রশাসন। বাঁশ ও টিনের ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে রবীন্দ্র সরোবরে ঢোকার ১৬টি গেট। এবিষয়ে পুলিশ জানিয়েছে, ছট পুজোর সময় আগামী বুধবার দুপুর থেকে বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত রবীন্দ্র সরোবরে সবার প্রবেশ নিষেধ। মেনকা সিনেমার সামনে সরোবরের যে গেট রয়েছে, সেখানে টাঙানো হয়েছে ব্যানার। বিকল্প কোন কোন ঘাটে পুজো করা যাবে, তার তালিকা দেওয়া হয়েছে তাতে। শিকল দিয়ে বেঁধে দেওয়া হচ্ছে সরোবরের সবকটি গেট।
আগামী বুধবার দুপুর ও বৃহস্পতিবার ভোরে ছট পুজো করবেন পুণ্যার্থীরা। গত ২ বছরের কথা মাথায় রেখে ওই দু’দিন রবীন্দ্র সরোবরে পুণ্যার্থীদের প্রবেশ আটকানোই পুলিশ প্রসাসনের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ। গত বছরও পুলিশি কড়াকড়িতে ছটে দূষণের হাত থেকে বাঁচানো গিয়েছিল সরোবরকে। তৎপরতার সঙ্গে রবীন্দ্র সরোবর ও সুভাষ সরোবরে যায় পুলিশ। মারাত্মক দূষণের হাত থেকে রক্ষা পায় কলকাতার দুই ফুসফুস। ২০২০ তে জাতীয় গ্রিন ট্রাইব্যুনাল, কলকাতা হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ কড়া ভাবে পালন করে পুলিশ-প্রশাসন। শনিবার ভোর রাত থেকে রবীন্দ্র সরোবরের বিভিন্ন গেটে কড়া পুলিশি পাহারা দেখা যায়। গতবছর ভোরের আলো যত ফোটে, পুলিশের সংখ্যাও বাড়তে থাকে। রবীন্দ্র সরোবারের গেট সাধারণের জন্য বন্ধ থাকায় বাইরেই শরীরচর্চা করেন প্রাতঃভ্রমণকারীরা। ভোর থেকে সুভাষ সরোবরের আশেপাশের রাস্তাতেও যান নিয়ন্ত্রণ করে পুলিশ। খুশি ছিলেন পরিবেশকর্মীরা। এবারও এমনই দূষণমুক্ত সরোবরের প্রত্যাশী তাঁরা।