জলবায়ু পরিবর্তনের কুপ্রভাব রুখতে তৎপর মহারাষ্ট্র। তাঁদের পরিবেশ বাঁচানোর লড়াই এবার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেল। স্কটল্যান্ডে ‘সিওপি-২৬’-এ সম্মানিত হল মহারাষ্ট্র। এটিই একমাত্র ভারতীয় রাজ্য যা ‘আন্ডার টু কোয়ালিশন ক্লাইমেট লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ডস ২০২১’-এর আওতায় তিনটির মধ্যে একটি পুরস্কার জিতে নিয়েছে।
ফের জমায়েত বাড়ল রাষ্ট্রপ্রধানদের। গৃহীত হল পরিবেশরক্ষায় একাধিক সংকল্প। সোমবারের আকর্ষণ অবশ্য ছিলেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, যিনি ২০১৫ সালে প্যারিস জলবায়ু চুক্তির চূড়ান্তকরণে মুখ্য ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন। জলবায়ু পরিবর্তনের কুফল নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে এদিন বক্তব্য রাখেন ওবামা। গত সপ্তাহেই ‘সিওপি-২৬’ নিয়ে টুইট করেছিলেন ওবামা।
জানিয়েছিলেন, “৫ বছর আগে কার্যকর হয়েছিল প্যারিস জলবায়ু চুক্তি। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ন্ত্রণে লড়াই এগিয়ে নিয়ে যেতে প্যারিস চুক্তি অন্যতম প্রধান নির্ণায়ক হিসাবে পরিগণিত হয়েছিল। কিন্তু এখন বোঝা যাচ্ছে, তা যথেষ্ট ছিল না। তাই সোমবার গ্লাসগোয় আমি বক্তব্য রাখব এর ভবিষ্যত নিয়ে। জানতে চাইব, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম কীভাবে এতে অংশগ্রহণ করতে পারে।”
মহারাষ্ট্রের দখলে গিয়েছে ‘ইনস্পায়ারিং রিজিওনাল লিডারশিপ’ পুরস্কার। রাজ্যের হয়ে পুরস্কার গ্রহণ করেন মহারাষ্ট্রের পরিবেশমন্ত্রী আদিত্য ঠাকরে। পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই খবর শেয়ার করে লেখেন, “আমরা গর্বিত। এই সম্মান আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে মহারাষ্ট্রের উদ্যোগকে স্বীকৃতি দিয়েছে।”
প্রসঙ্গত, জলবায়ু পরিবর্তনের কুপ্রভাব রোধে সচেষ্ট রাজ্যগুলিকে স্বীকৃতি দেয় এই সম্মান।‘আন্ডার টু কোয়ালিশন’-এর আওতায় ভারতের পাঁচটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত এলাকা রয়েছে। মহারাষ্ট্র ছাড়া বাকিরা হল ছত্তিশগড়, জম্মু-কাশ্মীর, তেলেঙ্গানা এবং পশ্চিমবঙ্গ। চলতি বছরেরই ১ জুলাই, মহারাষ্ট্রে ‘আন্ডার টু কোয়ালিশন’-এ যোগদানকারী পঞ্চম ভারতীয় রাজ্য হিসাবে স্বীকৃত হয়েছিল।
সুইডিশ পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ আগেই দাবি করেছেন গ্লাসগোয় হওয়া ‘সিওপি-২৬’ ব্যর্থ। এমনকী, স্বয়ং ‘সিওপি’ সভাপতি অলোক শর্মাও মেনে নিয়েছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কুফল রোধে রাষ্ট্রসংঘের সম্মেলনে যে গতিতে কাজ হওয়ার কথা ছিল, তা হয়নি। এরই মধ্যে প্রথম সপ্তাহ শেষে, সোমবার থেকে গ্লাসগোয় শুরু হল জলবায়ু সম্মেলনের দ্বিতীয় সপ্তাহের অনুষ্ঠানসূচি।