অবশেষে নড়চড়ে বসল প্রশাসন। বাঁকুড়ার বিভীষণ হাঁসদার বাড়িতে পৌঁছল তাঁর মেয়ের চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ওষুধ। আগামীদিনেও নিয়মিত ওষুধ সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিলেন বিডিও ও বিএমওএইচ।
কে এই বিভীষণ হাঁসদা? তখনও রাজ্যে বিধানসভা ভোট হয়নি। ২০২০ সালের ৫ নভেম্বরে রাজনৈতিক সফরে বাঁকুড়া এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। স্থানীয় চতুরডিহি গ্রামের বিভীষণের বাড়িতে শাহের জন্য মধ্যাহ্নভোজের ব্যবস্থা করেছিলেন স্থানীয় বিজেপি নেতারা। সেই সুযোগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে মেয়ে রচনার অসুখের কথা জানিয়েছিলেন বিভীষণ। অমিত শাহ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, দিল্লীর এইমসে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেবেন। বস্তুত, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চলে যাওয়ার বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ, এমনকী রাজ্য সরকারের পঞ্চায়েত দফতরের প্রতিমন্ত্রী শ্যমল সাঁতরাও বেশ কয়েকবার গিয়েছিলেন বিভীষণের বাড়িতে। উন্নত চিকিৎসার আশ্বাসই শুধু নয়, রচনার প্রয়োজনীয় ওষুধ ও ইঞ্জেকশন সরবরাহেরও ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
তাহলে? বছর ঘোরার আগেই এখন সেসব বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বিভীষণ হাঁসদার দাবি, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে কোনও সাহায্য পাননি এখনও। দিল্লি এইসমে চিকিৎসা তো দূর অস্ত, গত কয়েক মাস ধরে মেয়ের প্রয়োজনীয় ওষুধ ও ইঞ্জেকশনও পাচ্ছেন না। বাধ্য হয়ে দিনমজুরি করে সামান্য যা টাকা রোজগার করেন, তা থেকে ওষুধের জন্য মাসে হাজার পাঁচেক টাকার জোগান দিতে হচ্ছিল তাঁকে।
এদিন সকালে বিভীষণ হাঁসদার বাড়িতে যান বিডিও ও বিএমএইচ। মেয়ের জন্য একমাসের ওষুধ ও ইনস্যুলিন ইঞ্জেকশান পরিবারের হাতে তুলে দেন তাঁরা। আশ্বাস দেওয়া হয়, আগামী দিনেও স্বাস্থ্য দফতর থেকেই প্রয়োজনীয় ওষুধ পাবেন বিভীষণ। অমিত শাহকে বাড়িতে ভোজ খাইয়েছিলেন যিনি, রাজ্য প্রশাসন পাশে দাঁড়ানোয় স্বভাবতই খুশি তিনি।