করোনার টিকাকরণে গতি আনতে এবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে টিকা দেওয়ার উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার৷ এই মর্মে ইতিমধ্যে রাজ্যের তরফে নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে৷ মূলত যাঁরা এখনও টিকার প্রথম ডোজ নেননি অথবা শয্যাশায়ী থাকার কারণে টিকা পাননি, বাড়ি বাড়ি গিয়ে মূলত তাঁদেরকে চিহ্নিত করতেই এই পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার৷ কারণ করোনা সংক্রমণ রুখতে যে প্রত্যেকের টিকাকরণই একমাত্র পথ, কেন্দ্রের তরফেও বার বার সেকথা মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে৷
জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের শীর্ষ কর্তা এবং সচিব সৌমিত্র মোহন বাড়ি বাড়ি গিয়ে টিকাকরণের কর্মসূচি শুরু করার জন্য ইতিমধ্যেই নির্দেশিকা জারি করেছেন৷ সেখানে প্রতিটি জেলার জেলাশাসক এবং মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সর্বত্র স্বাস্থ্য এবং আশা কর্মীদের বাড়ি বাড়ি পাঠিয়ে টিকাকরণ নিয়ে খোঁজখবর নিতে বলা হয়েছে৷ কলকাতা পুরসভাকেও একই নির্দেশ পাঠানো হয়েছে৷
বার বার টিকাকরণের প্রয়োজনীয়তা বোঝানো হলেও এখন বহু মানুষই আছেন যাঁরা নানা কারণে প্রথম ডোজের টিকাও নেননি৷ অনেকের আবার দ্বিতীয় ডোজ বকেয়া রয়েছে৷ বাড়ি বাড়ি গিয়ে টিকা নিতে অনিচ্ছুক এমন কারও খোঁজ পেলে তাঁকে টিকা নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা বোঝাবেন স্বাস্থ্য কর্মীরা, টিকা দেওয়ারও ব্যবস্থা করা হবে৷ শয্যাশায়ী থাকার কারণে যাঁরা টিকা পাননি, তাঁদেরকেও বাড়িতেই ভ্যাকসিন দেওয়ার বন্দোবস্ত করা হবে৷ যদিও অসুস্থ, শয্যাশায়ী বা প্রবীণদের বাড়ি গিয়ে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা স্থানীয় ভাবে আগেই শুরু হয়েছিল৷
গত ১৬ জানুয়ারি থেকে রাজ্যে করোনার টিকাকরণ শুরু হয়েছিল৷ এখনও পর্যন্ত ৮ কোটি ১৭ লক্ষ ৯৮ হাজার জন টিকা পেয়েছেন৷ কিন্তু এই সংখ্যার মধ্যে অনেকেরই দ্বিতীয় ডোজের টিকা নেওয়া বাকি৷ কলকাতা পুরসভার তরফে অবশ্য আগে থেকেই টিকাগ্রহণ কেন্দ্রে আসতে পারবেন না, এমন শয্যাশায়ী, প্রবীণ নাগরিকদের চিহ্নিত করে তালিকা তৈরি করা হয়েছে৷