মমতা বলেন, ‘সমস্যা একটাই। এত বেশি পেট্রল, ডিজেলে, গ্যাসের দাম বাড়ছে যে তাতে মানুষের টাকাপয়সা রুদ্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।’ জ্বালানি তেলের আকাশ ছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধি। দাম বাড়ছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের। নাভিশ্বাস অবস্থা আম আদমির। সাধারণের সুরাহায় পেট্রেল-ডিজেলের উপর কর কমিয়েছে কেন্দ্র। ভ্যাট কমিয়েছে একাধিক বিজেপি শাসিত রাজ্যও। বিক্রয় ক্রয় কমিয়েছে কংগ্রেস শাসিত পাঞ্জাব ও ছত্তিশগড়ও।
কিন্তু, পশ্চিমবঙ্গ সরকার এখনও ভ্যাট বা বিক্রয় কর কমানোর কথা জানায়নি। তৃণমূলের উপর চাপ বাড়াতে এ রাজ্যে ভ্যাট কমানোর দাবিতে সোচ্চার বিজেপি। জ্বালানি তেলের উপর ভ্যাট কমানোর দাবিতে সোমবার সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতে মমতা সরকারের বিরুদ্ধে বিজেপির আন্দোলন ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। ফের আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে গেরুয়া বাহিনী। এরপরই পেট্রল-ডিজেলের দাম বদ্ধি নিয়ে ফের কেন্দ্রকে নিশানা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ভ্যাট কমানো নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করে জানিয়েছেন তিনি।
এ দিন বিশ্ব বাংলা শারদসম্মান পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্ত রাখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই পেট্রল, ডিজেলের দাম বৃদ্ধি নিয়ে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যায় তাঁকে। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মমতা বলেন, ‘সমস্যা একটাই। এত বেশি পেট্রল, ডিজেলে, গ্যাসের দাম বাড়ছে যে তাতে মানুষের টাকাপয়সা রুদ্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।
শুধু পেট্রল, ডিজেল, গ্যাসের দাম বাড়িয়েই কেন্দ্র চার লক্ষ টাকা তুলে নিয়েছে। ডিজেল না থাকলে জিনিসপত্রের দাম তো বাড়বেই। নিজেদের রাজ্যে ক্ষমতায় আছে। আর হাজার-হাজার কোটি টাকা দিচ্ছে। আমাদের তো দেয় না। আমাদের টিকাই দেয় না, তো টাকা দেবে। বড়-বড় ফটফট করে। আমরা লিটার পিছু ডিজেলে এক টাকা ছাড় দিই। আমি কোথায় পাব? তা সত্ত্বেও করি। আমাদের যত স্কিম আছে, বিশ্বের কোথাও আছে?’
অর্থাৎ, বিজেপি যতই হুঁশিয়ারি দিক না কেন, মুখ্যমন্ত্রীর এ দিনের বক্তব্যেই কার্যত স্পষ্ট যে আপাতত পেট্রল ও ডিজেলের উপর থেকে রাজ্য সরকারের আপাতত ভ্যাট কমানো কোনও পরিকল্পনা নেই। এছাড়াও সোমবার মুখ্যমন্ত্রী জানান, মিলন মেলা গ্রাউন্ডকে আন্তর্জাতিক মানের তৈরি করা হচ্ছে। আগামী বছর মার্চের মধ্যেই নবনির্মিত গ্রাউন্ডের সবচনা হয়ে যেতে পারে। শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে শারদীয়া, কালীপুজো পালনের জন্য রাজ্যবাসী, পুলিশ, ক্লাব উদ্যোক্তাদের এ দিন ধন্যবাদ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।