আর কোনও পদে থাকতে চান না— সম্প্রতি দলের নীতি-নির্ধারক কমিটিকে এমনটাই জানিয়েছিলেন তিনি। অবশেষে তাঁর সেই দাবি মেনে নিতে চলেছে দল। হ্যাঁ, সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক পদ থেকে সূর্যকান্ত মিশ্রের ইস্তফা এখন সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু তাঁর জায়গায় কে আসবেন? এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে দলে।
সূত্রের খবর, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে সিপিএমের রাজ্য সম্মেলনে দলের রাজ্য সম্পাদক পদে বদল হবে নিশ্চিত। তাই তাঁর জায়গায় আসন অলঙ্কৃত করতে পারেন মহম্মদ সেলিম এবং শ্রীদীপ ভট্টাচার্যের মধ্যে যে কোনও একজন। যদিও সে বিষয়ে এখনও কোনও সিলমোহর পড়েনি। তবে আলিমুদ্দিনের অন্দরে অনেকেই মহম্মদ সেলিমকে এগিয়ে রেখেছেন।
একের পর এক নির্বাচনী বিপর্যয় ঘটেছে তাঁর রাজ্য সম্পাদক থাকাকালীন। তাই তিনি নিজেও এই দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চান। তাছাড়া সমীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, এখন আর আগের মতো তাঁর জনপ্রিয়তা নেই। পার্টি ভাঙতে শুরু করেছে। অনেক চেষ্টা করেও তিনি আশাতীত ফল পাননি। এছাড়া রয়েছে দলের নয়া বয়স নীতি। যা মেনে নিয়ে সূর্যবাবু সরে যেতে চাইছেন।
সিপিআইএমের সাংগঠনিক কাঠামো অনুযায়ী, রাজ্য সম্পাদক পদে তাঁকেই আনা হয়, যিনি পলিটব্যুরো বা কেন্দ্রীয় কমিটির ‘সিনিয়র’ সদস্য। সেক্ষেত্রে মহম্মদ সেলিমের নাম এগিয়ে রাখা হচ্ছে। তিনি একদিকে পলিটবুরোর সদস্য, অন্যদিকে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী এবং লোকসভা ও রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ। আবার তাঁকে রাজ্য সম্পাদক পদে বসালে সংখ্যালঘু মুখ তুলে ধরা যাবে।
অন্যদিকে, শ্রীদীপ ভট্টাচার্যও কেন্দ্রীয় কমিটিতে আছেন। তিনি তিনি সিনিয়র নেতা হলেও পার্টির বাইরে তিনি জনপ্রিয় নন। এমনকী সংসদীয় রাজনীতিতেও তিনি পা দেননি। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিপিআইএম রাজ্য কমিটির নেতা বলেন, ‘সূর্য অস্ত যেতে চলেছে। শ্রীদীপের নাম অনেকে ভাসিয়ে দিচ্ছেন ঠিকই, তবে সেটা হলে খুব কঠিন পথ ধরেই হতে হবে। আর মহম্মদ সেলিমের ক্ষেত্রে পথটা মসৃণ।’