গত বৃহস্পতিবার প্রয়াত হয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ সুব্রত মুখোপাধ্যায়। এবার তাঁর স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে কেঁদে ফেললেন রাজ্যের আরেক মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। কান্না জড়ানো গলায় তিনি বলেন, ‘অনেক ঝগড়া হয়েছে। কিন্তু, আমি সুব্রতকে ছাড়িনি, সুব্রত আমাকে ছাড়েনি।’ এদিন বিধানসভায় অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে শোকপ্রস্তাব উত্থাপিত করেন। এরপর তাঁর স্মৃতিচারণা করেন বিধায়করা।
এদিন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় সুব্রতকে নিয়ে বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন। বলেন, ‘বাম আমলে বহুবার আক্রান্ত হয়েছিলেন সুব্রত। কিন্তু, বহুবার মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরেছেন তিনি। সুব্রত বরাবরই হুজুগে ছিল। একবার বলল চল পুরী যাই। অতিরিক্ত জামা কাপড় নিতে হবে না। ড্রাইভ করে আমি সুব্রত, সোমেন চলে গেলাম পুরী। ঝগড়া হয়েছে অনেকবার, কিন্তু কোনওদিন বন্ধুত্ব নষ্ট হয়নি।’
এদিকে ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘কোনওদিন উত্তম কুমারকে দেখিনি। ছোট বেলায় যখন সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে দেখতাম, তাঁকেই উত্তম কুমার মনে হতো। দূর থেকে দেখতাম।’ আবার, মানস ভুঁইয়া বলেন, ‘১৯৭১ থেকে ২০২১ সালের বঙ্গ রাজনীতি নিয়ে গবেষণা করলে সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে ছাড়া কোনও আলোচনা সম্ভব নয়। তাঁকে এক সময় তরমুজ আখ্যা দেওয়া হয়, খুব বেদনার। সুব্রতদা বলতেন, সংসদীয় রাজনীতিতে বিরোধী পক্ষের নেতা হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে মানুষের কথা বলতেই হবে।’