গত বৃহস্পতিবার আচমকাই প্রয়াত হন রাজ্যের মন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ সুব্রত মুখোপাধ্যায়৷ অনেকের কাছেই তিনি ছিলেম রাজনৈতিক গুরুর সমান৷ এ হেন সুব্রতর স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে বিধানসভায় নানা ধরনের অজানা কাহিনি শোনা গেল পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানস ভুঁইয়াদের মুখে। স্মৃতির ঝাঁপি উপুড় করে দিলেন তাঁরা৷
এদিম রাজ্যের শিল্প মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের স্মৃতি চারণা করতে গিয়ে ছাত্র রাজনীতির সময়ে ফিরে যান৷ কয়েক দশক আগের স্মৃতি হাতড়ে পার্থ বলেন, ‘সুব্রতদাকে নিয়ে আজকে কিছু বলতে হবে আর তাঁর সিট ফাঁকা ভাবা যায় না। কোনওদিন ভাবিনি রাজনীতি করব। নাকতলায় পাড়ায় আড্ডা দিচ্ছি। শোভনদেবদা টাক্সি থেকে নেমে এসে বলল ছাত্র পরিষদ করবি?’
স্মৃতি চারণা করতে গিয়ে প্রিয়-সুব্রত জুটির কথাও উঠে আসে শিল্পমন্ত্রীর কথায়৷ তিনি বলেন, ‘সুব্রতদা তখন একডালিয়ায় জীবনদার রেশন দোকানের ওপরে থাকতেন৷ আমার দুটো জিনিস চোখের সামনে ভাসে৷ প্রিয়দা এবং সুব্রতদা দু’জনে বসুশ্রী সিনেমায় আসতেন আড্ডা দিতে মন্টুদার ওখানে। বসন্ত কেবিন থেকে খাবার আসত।’
রাজনৈতিক জীবনে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের অবদানের কথা স্বীকার করে নিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘প্রিয়দা-সুব্রতদা কখন যে কি করবে কেউ জানত না। কত কথা মনে পড়ছে। জীবনের প্রতি পদক্ষেপে ছাত্র আন্দোলনে সুব্রতদার সঙ্গে জড়িয়ে ছিলাম। যা বলত তাই শুনতাম।’ শুধু রাজনৈতিক গুরু নয়, তার ঊর্ধ্বে উঠে সুব্রত মুখোপাধ্যায় তাঁর পরিবারেরই একজন হয়ে উঠেছিলেন বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী৷
পার্থ জানান, ‘সুব্রতদা শুধু রাজনীতির গুরু ছিলেন না। বাড়ির বড়দা ছিলেন। মা মারা গেল। বাড়িতে এসে কতটা সময় বসে থাকল। কথা বলল। তখনও কি জানি চার মাসের মধ্যে তুমিও চলে যাবে!’ স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে পার্থ জানান, সুব্রতদা আমায় বলত মমতা গরিবের মেয়ে, ওঁকে উঠতে দে।