দুঃসময় কাটছেই না পদ্মশিবিরের। বঙ্গ বিজেপিতে অব্যাহত অন্তর্দ্বন্দ্ব। ফলত ভাঙনও থামানো যাচ্ছে না। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে বিজেপি ছাড়ার যে হিড়িক শুরু হয়েছিল তা আরও বেড়ে চলেছে। এবার কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি গিরীন্দ্রনাথ বর্মন জানান, জেলার তিন বিজেপি বিধায়ক ইতিমধ্যেই যোগাযোগ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করার জন্য। তবে তাদের নাম প্রকাশে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছেন গিরিনবাবু। তিনি বলেন, দ্রুত পৌরসভা নির্বাচনের আগেই জেলার তিনজন বিজেপি বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেসের যোগদানের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। রাজ্যস্তরে আলোচনা করা হয়েছে। সেখান থেকে গ্রিন সিগন্যাল পাওয়ার পরেই তাদের দলে নেওয়ার কথা প্রকাশ করা হবে। তবে যারা দলে আসার আবেদন জানিয়েছেন তাদের দলে নেওয়া হলে জেলায় বিজেপির অস্তিত্ব সংকটে পড়বে।
উল্লেখ্য, দিনহাটা উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী উদয়ন গুহ রাজ্যের নিরিখে সর্বাধিক ভোটে জয়লাভ করার পরই বিজেপি শিবিরে ফাটল ধরতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সহ কয়েক হাজার কর্মী সমর্থক তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা হাতে তুলে দিয়েছেন। বেশ কিছুদিন থেকেই জল্পনা চলছে। বিজেপি বিধায়কদের মধ্যে কয়েকজন তৃণমূলে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। গিরিনবাবুর বক্তব্য সেই জল্পনা আরও বাড়াল।
বিজেপি সূত্রে জানানো হয়েছে, বর্তমান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক এবং জেলা বিজেপির সংগঠনের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব ক্রমেই জোরালো হয়েছে। সেই কারণেই নিশীথ প্রামাণিকের একনায়কতন্ত্র মানতে নারাজ বিজেপি শিবির ধীরে ধীরে তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে আকৃষ্ট হচ্ছেন। হয়তো এই কারণেই বিজেপি বিধায়কদের একাংশ তৃণমূলের দিকে আকর্ষণ অনুভব করছেন। বর্তমানে নয়টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৬ টি আসন রয়েছে বিজেপি শিবিরে। তিনজন তৃণমূল শিবিরে যোগদান করলে সংখ্যাটি তৃণমূল শিবিরে ৬ এসে দাঁড়াবে। বিপাকে পড়বে পদ্মশিবির।