রাজ্য সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালগুলোতে ফায়ার অডিট করার নির্দেশ দিল রাজ্য সরকার। বিশেষত আইসিইউ এবং যেখানে যেখানে রোগীরা ভর্তি থাকে, সেই জায়গাগুলিতে ফায়ার অডিট করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমন নির্দেশ দিল রাজ্যের অগ্নি সুরক্ষা দফতর। নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, প্রত্যেক দিনের ফায়ার অডিট রিপোর্ট পাঠাতে হবে ডিজি ফায়ার-কে। ইতিমধ্যেই তা শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রত্যেকটি জেলাকেই।
খবর পেয়েই দ্রুত উদ্ধারের কাজ শুরু করেন পুলিশ ও দমকলকর্মীরা। ঘটনার কারণ জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ও দমকল বিভাগ। গত এপ্রিলে মহারাষ্ট্রেরই পালঘরে কোভিড হাসপাতালে শর্ট সার্কিটের জেরে আগুন লেগেছিল। ওই ঘটনাতেও আইসিইউ-তে চিকিৎসাধীন ১৩ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছিল। তবে, শুধু মহারাষ্ট্র নয়, বাংলাতেও বারবার হাসপাতাল-নার্সিংহোমে আগুন লেগেছে। তাই সতর্ক থাকতেই আগাম ব্যবস্থা নিল রাজ্য সরকার।
প্রত্যেকটি জেলাতেই জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত ফায়ার অফিসাররা একটি টিম তৈরি করে জেলাশাসকের নেতৃত্বে এই অডিট করবে। রাজ্য প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে এই নির্দেশিকা বলে জানা গিয়েছে। অগ্নি সুরক্ষা দফতর থেকে জারি করা নির্দেশিকায় তা জানানো হল। সম্প্রতি মুম্বইয়ের এক কোভিড হাসপাতালে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। তাতে মৃত্যুও হয় অনেকের। তার পরপরই রাজ্যের দমকল দফতরের তরফে এই ধরনের নির্দেশিকা জারি করা হল।
প্রসঙ্গত, গত ৬ নভেম্বর মহারাষ্ট্রের আহমেদনগরে একটি হাসপাতালে আগুন লাগার জেরে মৃত্যু হয়েছিল ‘ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট’ (আইসিইউ)-এ থাকা ১০ জন কোভিড রোগীর। আহতও হয়েছিলেন বেশ কয়েক জন। দমকল বিভাগের প্রাথমিক অনুমান শর্ট সার্কিটের কারণেই ওই অগ্নিকাণ্ড। প্রবল ধোঁয়ার শ্বাসরোধ হয়েই আইসিইউ-তে থাকা রোগীদের মৃত্যু হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রের জানানো হয়েছিল।