কিছুদিন আগে যে বাড়িটি নিয়ে রাজ্য–রাজনীতিতে জোর সাড়া পড়ে গিয়েছিল সেই বাড়িটি আজ আবার চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এল। কারণ এই বাড়িতেই এসেছিলেন খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেটা এক বছর আগে। এই বাড়িতে এসেই তিনি মধ্যাহ্নভোজ সেরে ছিলেন। আর দরিদ্র বাবা–মায়ের মেয়ের চিকিৎসার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি আজও বাস্তবায়িত হয়নি।
আজ এই দাবি করলেন, বাঁকুড়ার চতুরডিহি গ্রামের আদিবাসী পরিবার।
ঠিক কী অভিযোগ উঠেছে? বাঁকুড়ার চতুরডিহির বাসিন্দা বিভীষণ হাঁসদা বলেন, ‘আমাকে নিয়ে রাজনীতি করেছে। আমার মেয়ের চিকিৎসার ব্যবস্থা করুক ওরা। এখনও মেয়ের চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেয়নি কেউই।’ এই দাবি বিভীষণ হাঁসদার। একুশের নির্বাচনের আগে জনতার দরজায় দরজায় কড়া নাড়ছিলেন রাজনীতির কারবারিরা। ২০২০ সালের ৫ নভেম্বর চতুরডিহি গ্রামে এই আদিবাসী বাড়িতে এসেছিলেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিভীষণ হাঁসদার বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সেরেছিলেন তিনি। তখনই নিজের মেয়ের অসুস্থতার কথা স্বরষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছিলেন দিনমজুর বিভীষণ। আর অমিত শাহ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, নয়াদিল্লীর এইমস হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানো হবে।
সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি। কারণ একুশের নির্বাচনে মোহভঙ্গ হয়েছে বিজেপির। এখন এখানকার সাংসদ কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ডাঃ সুভাষ সরকার। তারপরও প্রতিশ্রুতি পালন করা হয়নি। তাই বিভীষণ হাঁসদা বলেন, ‘বিজেপি সাংসদ ওষুধের ব্যবস্থা করেছিলেন। কিন্তু ২–৩ মাস পর থেকে আর খোঁজ নেই’।
এই বিষয়ে মনিকা হাঁসদা বলেন, ‘আমি নিজে রান্না করে খাইয়েছিলাম। চিকিৎসার ব্যবস্থা করেনি। আমাদের কষ্ট করতে হচ্ছে।’ এই নিয়ে বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান শ্যামল সাঁতরা বলেন, ‘একাধিক মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কাজ কিছু হয়নি। আমরা বিভীষণের সঙ্গে যোগাযোগ রাখি। অমিত শাহ মিথ্যে কথা বলে প্রচার করে গিয়েছেন।’ আর কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার বলেন, ‘বানিয়ে বলছেন। ওঁর বাড়িতে নিয়মিত ওষুধ পৌঁছনো হয়। উনি নির্দিষ্ট জায়গায় গেলে ওষুধ পাবেন। এছাড়া ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে।’