রাজনীতির মাঠে দৌড়ে বেড়ানো সুব্রত মুখোপাধ্যায় কলকাতা ময়দানের সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত। মোহনবাগানের সহ-সভাপতির প্রয়াণে শোকস্তব্ধ ময়দানও। সবুজ-মেরুন ক্লাবের পক্ষ থেকে রবীন্দ্র সদনে শ্রদ্ধা জানানো হবে তাঁকে। ক্লাবের পতাকা থাকবে অর্ধনমিত।
মাঠে একসঙ্গে বসে খেলা দেখেছি। ওঁর সঙ্গে জয়ের আনন্দ, হারের দুঃখ ভাগ করে নিতাম।” সৃঞ্জয় জানিয়েছেন রবীন্দ্র সদনে মোহনবাগানের তরফে শ্রদ্ধা জানানো হবে সুব্রতকে। ক্লাবের পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে।
মোহনবাগান সচিব সৃঞ্জয় বসুর কাছে সুব্রতর মৃত্যু পারিবারিক আত্মীয় হারানোর সমান। আনন্দবাজার অনলাইনকে তিনি বলেন, “অবিভাবক হারালাম। একজন আদ্যপান্ত মোহনবাগানী। কিছু মানুষের ক্লাবে থাকার জন্য কোনও পদ দরকার হয় না, উনি তেমনই একজন মানুষ।”
উৎসবের কলকাতায় বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎই অন্ধকার নেমে আসে। বাড়ির পুজোয় ব্যস্ত থাকা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছুটে যান এসএসকেএম হাসপাতালে। কিছু ক্ষণের মধ্যেই জানিয়ে দেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু সংবাদ।
সৃঞ্জয় বলেন, “এমন তো নয় যে উনি অনেক দিন ধরে অসুস্থ। সুস্থ ছিলেন, কাজের মধ্যে ব্যস্ত ছিলেন, সেই অবস্থাতেই চলে গেলেন। ওঁকে ভুগতে হল না, এটাই একটা ভাল ব্যাপার।”
সুব্রতর মৃত্যু সৃঞ্জয়ের কাছে শুধু মোহনবাগানের সহ-সভাপতিকে হারানো নয়, ব্যক্তিগত ক্ষতি। তিনি বলেন, “আমার কাছে এটা ব্যক্তিগত ক্ষতি। যে কোনও দরকারে পাশে পেতাম। পরামর্শ করতে পারতাম। আমাকে জন্মাতে দেখেছেন উনি।