ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের নেতা রাকেশ টিকায়েত গাজিপুরে বিক্ষোভস্থলে দিওয়ালি পালন করলেন। সেখানে আন্দোলনরত কৃষক এবং কৃষক আন্দোলনের অন্যান্য নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। এদিন তাঁরা নিহত কৃষক ও সেনাদের স্মরণ করেন। এই উদযাপন নাম দেওয়া হয়েছিল, ‘দো দিয়ে, শহীদো কে লিয়ে’।
তিনি জানিয়েছেন, গত ২২ জানুয়ারি সরকার শেষবারের জন্য তাদের সঙ্গে কথা বলেছে। তাঁরা সরকারকে ২৬ নভেম্বর অবধি সময় দিয়েছে। ২৬ নভেম্বর কৃষক আন্দোলনে এক বছর পূর্ণ হবে। সরকার এই সময়ের মধ্যে দাবি না মেনে নিলে কৃষকরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামার জন্য ট্র্যাক্টর নিয়ে প্রস্তুত। তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, সরকার তো তাদের দাবি মেনে নিচ্ছে না তবে তার কতদিন আন্দোলন করবেন? এর উত্তরে তিনি জানিয়েছেন, সরকার যদি ৫ বছর চলতে পারে তবে তাদের আন্দোলনও ৫ বছর চলবে। তিনি জানা, শুধুমাত্র উপস্থিতি নয়, চিন্তা ভাবনা মানুষকে বড় করে তোলে।
কৃষক আন্দোলনের আরেক নেতা যোগেন্দ্র যাদবে সঙ্গে তাঁর মতের অমিল এবং ফাটলের কথা সামনে এসেছিল। এমনকি তিনি আর আন্দোলনের সঙ্গে নেই এমন কথাও শোনা গিয়েছিল। সেই প্রসঙ্গে রাকেশ টিকায়েত বলেন, যোগেন্দ্র যাদবের সঙ্গে তাঁর কোনও সমস্যা নেই। একটি বই লেখার জন্য যোগেন্দ্র কিছুদিন সময় নিয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে অগস্ট মাসে শুরু হয়েছিল, এক বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও নিজেদের দাবিতে অনড় আন্দোলনরত কৃষকরা। বিতর্কিত তিনটি কৃষি বিল প্রত্যাহারের দাবিতে এখনও নিজেদের অবস্থানেই রয়েছেন তারা কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘাতে কোনওভাবেই দাঁড়ি পড়ছে বরং দিন আরও বেশি করে নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছেন কৃষকরা। হাজার হাজার কৃষক গত বছরের ২৬ নভেম্বর থেকে টিকরি, সিংগু এবং গাজিপুর এই তিনটি সীমান্তে বিতর্কিত তিনটি কৃষক আইন প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। কৃষকদের দাবি এই আইন তাদের স্বার্থ বিরোধী অন্যদিকে সরকারের দাবি কৃষকদের ভালর জন্যই এই আইন নিয়ে আসা হয়েছে। বারবার সরকার ও আন্দোলনরত কৃষকদের মধ্যে আলোচনা হলেও কোনও সমাধান সূত্র বের হয়নি।