এবার দু’দিনের দেশব্যাপী সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিল সর্বভারতীয় শ্রমিক সংগঠনগুলি। সংসদের আগামী বাজেট অধিবেশন চলাকালীনই তারা এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। যদিও এর দিনক্ষণ এখনও চূড়ান্ত হয়নি। বুধবার একযোগে এই ঘোষণা করেছে সিটু, আইএনটিইউসি সহ দশটি সর্বভারতীয় শ্রমিক সংগঠন। একইসঙ্গে তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, দেশজুড়ে মোদী বিরোধী আন্দোলন জোরদার করতে চলতি নভেম্বর মাস থেকেই একটানা কর্মসূচী গ্রহণ করা হবে। তারই ফলশ্রুতি হিসেবে আগামী ১১ই নভেম্বর নয়াদিল্লীর যন্তর-মন্তরে জাতীয় কনভেনশনের ডাক দেওয়া হয়েছে শ্রমিক সংগঠনগুলির পক্ষ থেকে। সেই জাতীয় সমাবেশের পরই শুরু হবে জেলায় জেলায় প্রতিবাদ, বিক্ষোভ, ধর্না।
উল্লেখ্য, শ্রমিক সংগঠনগুলির এহেন একটানা কর্মসূচীর জেরে কৃষক আন্দোলনের মাঝেই নতুন করে মাথাব্যথা বাড়ল মোদী সরকারের। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তবে কেন্দ্রের কৃষক-অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে এদিনই সর্বভারতীয় শ্রমিক সংগঠনগুলি এও ঘোষণা করেছে যে, আগামী ২৬শে নভেম্বর বিতর্কিত তিনটি কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে দিল্লীর সীমানাগুলিতে কৃষক আন্দোলনের এক বছর পূর্তির দিনটিকে শ্রমিক নেতারা প্রতিবাদ দিবস হিসেবে পালন করবেন।
এদিন দেশের শ্রমিক সংগঠনগুলির পক্ষ থেকে জানানো হয়, একের পর এক শ্রমিক-স্বার্থ বিরোধী নীতি গ্রহণ করে চলেছে মোদী সরকার। বিরোধীদের কথায় কর্ণপাতই করা হচ্ছে না। অন্যদিকে, এদিন মোদী সরকারের উপর চাপ বাড়িয়ে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা জানিয়েছে, আন্দোলনকারী কৃষকরা তখনই দীপাবলি পালন করবেন, যখন কেন্দ্র তাঁদের দাবি মেনে নেবে। বরং দীপাবলির দিন আরও বেশি সংখ্যক মানুষ দিল্লীর সীমানায় যোগ দিয়ে কৃষকদের পাশে দাঁড়ান, আর্জি জানিয়েছে মোর্চা।