সর্বভারতীয় স্তরের বিভিন্ন পরীক্ষায় বাঙালি যখন ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছে তখন রাজ্যের মুখ উজ্জ্বল করল সোনামুখীর সৌম্যদীপ হালদার। মেডিকেলে প্রবেশিকার সর্বভারতীয় নিট পরীক্ষায় রাজ্যের মধ্যে প্রথম হয়েছে বাঁকুড়ার এই কৃতী সন্তান। শুধু তাই নয় জাতীয় স্তরে ১৯ তম স্থান দখল করে সর্বভারতীয় স্তরে বাংলার মুখ উজ্জ্বল করেছে সে।
বরাবরের মেধাবী ছাত্র সৌম্যদীপ দশম শ্রেণীর পরীক্ষায় ৯৫ শতাংশ নম্বর পায়। দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষাতে ৯৫.৬ শতাংশ নম্বর নিয়ে পাশ করে। পাশাপাশি চলছিল নিট প্রবেশিকার প্রস্তুতি। এই গোটা যাত্রাপথে পরিবার সবরকমভাবে সৌম্যদীপের পাশে ছিল। ছেলের সাফল্যে তাঁরাও খুশি।
সৌম্যদীপের এই কৃতিত্বে খুশি সকলে। নিটের ফল প্রকাশের পর থেকেই একের পর এক শুভেচ্ছাবার্তা ভেসে আসছে। পরিচিতরা বাড়িতে এসে আশীর্বাদ করে যাচ্ছেন। সকলেই চান মিষ্টিমুখ করিয়ে সৌম্যদীপকে আশীর্বাদ করতে। দ্য ওয়ালের পক্ষ থেকে আমরাও সৌম্যদীপকে আগামী জীবনের জন্য শুভেচ্ছা জানাই। সে একজন বড় মাপের চিকিৎসক হয়ে উঠুক। মানুষের চিকিৎসা করে সুস্থ করে জীবনের পথে ফিরিয়ে দিক।
বাঁকুড়ার একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ছাত্র সৌম্যদীপের ছোট থেকেই ইচ্ছে ছিল চিকিৎসক হওয়ার। তার পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্য মেডিকেল সার্ভিসের সঙ্গে যুক্ত। তাঁদের উৎসাহেই চিকিৎসাশাস্ত্র নিয়ে পড়াশোনা করার বিষয়টিকে লক্ষ্য করে প্রস্তুতি নিয়েছিল সে। শেষ পর্যন্ত সেই লক্ষ্যের প্রাথমিক ধাপ সফলভাবে উত্তীর্ণ হতে পেরেছে সৌম্যদীপ। এবার দিল্লীর এইমসে পড়াশোনা করতে চায়। হতে চায় একজন কৃতি রেডিওলজিস্ট।