একেই ভোটে ভরাডুবি। তার উপর অন্তর্দ্বন্দ্বের আঁচ। জর্জরিত পদ্মশিবির। এবার ফের তথাগত রায়ের আক্রমণের মুখে বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই রাজ্য বিজেপিতে শুরু হয়েছে ভাঙন। শুধু দলত্যাগই নয়, উপনির্বাচনে একের পর এক হাতছাড়া হয়েছে বিধানসভা নির্বাচনে জেতা আসনও। এমতাবস্থায় সোশ্যাল মিডিয়ায় দলের নেতাদের তুলোধোনা করলেন তথাগত। এদিন তিনি টুইটে লেখেন, “দল দালালদের জন্য কোল পেতে দিয়েছিল। গলবস্ত্র হয়ে তাঁদের এনেছিল। যারা আদর্শের জন্য বিজেপি করত তাঁদের বলা হয়েছিল, এতবছর ধরে কী করেছেন? আমরা আঠারোটা সিট এনেছি। জুলিয়াস সিজারের মতো ভিনি ভিদি ভিসি। এখন ভাঁড়ামো করলে হবে? আজকে বিজেপির শোচনীয় পরিণতি এই সবের জন্যই।” বিজেপি নেতার মন্তব্যের বিরোধিতা করেছেন কেউ কেউ। অনেকে আবার সহমতও হয়েছে। তবে প্রকাশ্যে বিজেপি নেতার মন্তব্যে দানা বেঁধেছে বিতর্ক।
প্রসঙ্গত, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রিপুরার মাটিতে দাঁড়িয়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরই ভোটের মুখে ঘাসফুল শিবির ত্যাগীদের দালাল বলে কটাক্ষ করে ফেসবুক পোস্ট করেছিলেন প্রাক্তন এই রাজ্য বিজেপি সভাপতি। লিখেছিলেন, “অনেক দালাল নির্বাচনের আগে আমাদের দলে ঢুকে গিয়েছিলেন। কিছুজন গিয়েছেন, কিছু এখনও রয়েছেন। তাঁরা উৎপাত করছেন।” অর্থাৎ বুঝিয়েছিলেন, ওই দলবদলকারীদের জন্যই বিজেপির এই পরিণতি। মঙ্গলবার সেই পোস্টটি রি-টুইট করে দলকেই তীব্র আক্রমণ করলেন তথাগত রায়। একের পর পরাজয়ের জন্যও দুষলেন দলকেই। বিধানসভা ভোটে আশানুরূপ না ফল না হলেও দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছিল বিজেপি। তবে উপনির্বাচনের ফল একেবারেই সন্তোষজনক নয়। যে পাঁচটি আসনে উপনির্বাচন হয়েছে, তার একটিতেও জয় লাভ করেনি গেরুয়া শিবির। উলটে হাতছাড়া হয়েছে দিনহাটা, শান্তিপুরের মতো জেতা আসন। শেষদফায় যে চার আসনে ভোট হয়েছে, তার মধ্যে তিনটি আসন অর্থাৎ খড়দহ, গোসাবা ও দিনহাটায় জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। বাংলায় এই ফল স্বাভাবিকভাবেই চিন্তা বাড়িয়েছে গেরুয়াশিবিরের।