উপনির্বাচনে রাজ্যে চার কেন্দ্রে ধরাশায়ী হয়ে কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকেই অনুপ্রেরণা খুঁজছে বিজেপি? বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের মন্তব্যে সেরকমই ইঙ্গিত দেখছে রাজনৈতিক মহল৷ কারণ বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি একা সাংসদ হয়ে দলকে ক্ষমতায় নিয়ে আসতে পারেন, তাহলে বিজেপি-র পক্ষেও বাংলায় ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব৷
দিনহাটা, শান্তিপুর, খড়দহ, গোসাবা- রাজ্যের চার কেন্দ্রেই উপনির্বাচনে হেরেছে বিজেপি৷ তার মধ্যে শান্তিপুর বাদে বাকি তিনটি কেন্দ্রেই বিজেপি প্রার্থীদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে৷ বিজেপি-র প্রাপ্ত ভোটের হার ১৫ শতাংশের নীচে নেমে গিয়েছে।
ইতিমধ্যেই বিজেপি-র বেশ কয়েকজন বিধায়ক তৃণমূলে নাম লিখিয়েছেন৷ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বাবুল সুপ্রিয়র মতো নেতারাও তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন৷ তার পরেও এই ফলে হতাশ হওয়ার মতো কিছু দেখছেন না বিজেপি রাজ্য সভাপতি৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ‘হতাশা বলে কিছু নেই৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একসময় একা সাংসদ ছিলেন, সেখান থেকেই ক্ষমতা দখল করেছেন৷ ২৯ জন বিধায়ক ছিল একসময়৷ তার তুলনায় তো আমরা ভাল জায়গায় আছি৷’
২০০৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল থেকে একা সাংসদ হিসেবে জয়ী হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ২০০৬ সালে রাজ্য বিধানসভায় মাত্র তিরিশ জন বিধায়ক ছিল তৃণমূলের৷ তাঁর পাঁচ বছরের মধ্যে ২০১১ সালে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নবান্নে পা রাখেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এ দিন পরাজয়ের পর যাঁর কাছে বার বার ধরাশায়ী হতে হচ্ছে, সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদাহরণই টানলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি৷