গত নির্বাচনের মুখে তৃণমূল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে পা। এরপরে বিজেপির টিকিটে বিধানসভা ভোটে দাঁড়িয়ে হার আর বিজেপির ভরাডুবির পর থেকেই রাজ্যের প্রাক্তন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় গেরুয়া শিবিরের থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলছিলেন। সম্প্রতি বেশ কিছুদিন ধরেই ওনার তৃণমূলে যাওয়া নিয়ে জল্পনাও চলছিল, আর সেই জল্পনার অবসান ঘটে রবিবার। রবিবার ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি সভায় যোগ দিয়ে ফের তৃণমূলে ফিরে জান রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এরপর থেকে বিজেপির তরফ থেকে যথারীতি আক্রমণ করা হচ্ছে।
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিজেপি ছাড়ার প্রসঙ্গে দেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ তথা বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁ। তিনি বলেন, ‘চা খাচ্ছি, চা খেয়ে নিয়ে ভাঁড়টা ফেলে দেব। রাজীব দার পরিস্থিতিও চায়ের ভাঁড়ের মতো। রাজীব দা রাজনীতি এখনও বুঝতে পারছেন না। ওনাকে অনেকবার বলেছি সেরেল্যাক খেতে’।
সৌমিত্র খাঁ বলেন, ‘যারা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে গিয়েছেন, তাঁদের কী অবস্থা দেখেই বোঝা যাচ্ছে। চা খাওয়ার আগে যেমন ভাঁড়টিকে যত্ন করে রাখা হয় আর চা খাওয়া হয়ে গেলে ভাঁড় ফেলে দেওয়া হয়, রাজীব দার অবস্থা তেমন হবে’। সৌমিত্র খাঁ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় মন্ত্রী থাকাকালীন হওয়া দুর্নীতির কথা টেনে এনেও ওনাকে তুলোধোনা করেন।
সৌমিত্র খাঁর এই মন্তব্যেরই পাল্টা দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী সুজাতা মণ্ডল খাঁ। তৃণমূলে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফেরা প্রসঙ্গে সোমবার তোপ দাগেন সুজাতা। তবে বিজেপিকে কেন্দ্র করেই নিশানা বানিয়েছেন সুজাতা। সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি আজ যা ভাবি দুনিয়া কাল তা ভাবে। আমি আগেই বলেছিলাম একে একে সবাই তৃণমূল কংগ্রেসেই ফিরে আসবে। রাজীবাবু তো এলেন। আরও কী কী হয় দেখা যাবে। পদ্মই যদি পদ্মবন ছেড়ে আসেন তাহলে বোঝাই যায় পাঁকে কত গন্ধ! রাজীবের আর এক অর্থ তো পদ্ম। তাই না!’